২০২৪ সালের মধ্যে ইউরোপে সব ডিভাইসে একই চার্জার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ২০২৪ সালের মধ্যে সব ধরনের মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট এবং ক্যামেরার জন্য একটি একক চার্জিং পোর্ট চালুর পক্ষে ভোট দিয়েছে। ইউর এমন পদক্ষেপ অ্যাপলের জন্য সমস্যার কারণ হবে, কেননা প্রতিষ্ঠানটির আইফোন ভিন্ন পাওয়ার সংযোগের ব্যবহার করে।

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটটি ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি পূর্ববর্তী চুক্তির জের ধরে অনুষ্ঠিত হয়। যা অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ডিভাইসগুলোর দ্বারা ব্যবহূত ইউএসবি-সি সংযোগকারীদের ইইউ স্ট্যান্ডার্ড করে তুলবে এবং অ্যাপলকে এর ডিভাইসের জন্য চার্জিং পোর্ট পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপীয় গ্রাহকদের ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অন্যতম বড় সরবরাহকারীদের মধ্যে অ্যাপল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও বিশ্লেষকরা সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করছেন না। তারা বরং আশা করছেন এটি ক্রেতাদের ইউএসবি-সি প্রযুক্তি নেই, এমন সব গ্যাজেট কিনতে উৎসাহিত করতে পারে।

চুক্তিটি প্রযোজ্য হবে -রিডার, ইয়ারবাড এবং অন্যান্য প্রযুক্তি গ্যাজেটগুলোর জন্যও। অর্থাৎ এটি স্যামসাং, হুয়াওয়ে এবং অন্যান্য ডিভাইস নির্মাতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও অ্যাপল অতীতে সতর্ক করেছিল, প্রস্তাবটি প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ক্ষতি করবে এবং বর্জ্য তৈরি করবে।

শীর্ষস্থানীয় গবেষণা পরামর্শক কোম্পানি সিসিএস ইনসাইটের প্রধান বিশ্লেষক বেন উড বলেছেন, ভোটের ফলে এটি অনিবার্য হয়েছে যে ২০২৩ সালে প্রত্যাশিত আইফোন ১৫- একটি ইউএসবি-সি পোর্ট থাকবে। তিনি আরো যোগ করেন, চুক্তিটি মূলত সাধারণ জ্ঞানের জয়। যদিও অ্যাপলের লাইটনিং কেবল-চালিত ডিভাইসগুলোর একটি বিশাল ইনস্টলড বেস রয়েছে, তবে ভোক্তাদের জন্য তৈরি সব ইলেকট্রনিকস পণ্যজুড়ে ইউএসবি-সির সর্বব্যাপিতার  মানে হচ্ছে ইউএসবি-সির সঙ্গে পণ্য সমন্বয় করাটা মূলত নিখুঁত অর্থপূর্ণ এক উদ্যোগ।

বেন উড প্রত্যাশা করেন অ্যাপল ইউকের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে তাদের পণ্যগুলো ইউএসবি-সি পোর্ট সংযোগ করবে। তিনি আরো বলেন, ইউকে সরকার ইউএসবি-সিতে স্থানান্তর বাধ্যতামূলক করুক বা না করুক ইউকে গ্রাহকরা ডিফল্টরূপে প্রযুক্তিটি পাবেন।

গত মে মাসে ব্লুমবার্গ রিপোর্ট করে অ্যাপল ইউএসবি-সি চার্জিং পোর্টসহ আইফোনের ওপর কাজ করছে। যা আগামী বছর বাজারে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, আইফোন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ডিভাইসের জন্য বিভিন্ন চার্জার ব্যবহারের অসুবিধার বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে ধরনের উদ্যোগের জন্য বছরের পর বছর ধরে আলোচনা চলছিল। চুক্তিটির পক্ষে ৬০২ ভোট এবং বিপক্ষে মাত্র ১৩ ভোট পড়েছে। যার মানে ইইউ আইনপ্রণেতারা বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সংস্কার উদ্যোগটিকে সমর্থন করছেন।

ইউরোপীয় কমিশন, ইইউর নির্বাহী শাখা অনুমান করেছে যে একক চার্জারটি গ্রাহকদের জন্য প্রায়২৫০ মিলিয়ন ইউরো সাশ্রয় করবে।

অ্যাপল অবশ্য বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন