ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্কে পিপিপিতে নির্মাণ হবে ১৩৭২০ ফ্ল্যাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্কে পিপিপির ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে ১৩ হাজার ৭২০টি ফ্ল্যাট। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা জানান গৃহায়ন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি।

গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রণালয় এর অধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব বসতি দিবস ২০২২ উপলক্ষে গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

নিজ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় গৃহায়ন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় স্বল্প, মধ্যম নিম্ন? আয়ের মানুষের জন্য বিপুলসংখ্যক প্লট উন্নয়ন ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। রাজধানী ঢাকায় বস্তিবাসীদের জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। টঙ্গীর দত্তপাড়া এবং ঢাকার মিরপুরে ধরনের আরো বড় দুটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল রেসিডেন্সিয়াল পার্কে পিপিপির ভিত্তিতে নির্মাণ করা হবে ১৩ হাজার ৭২০টি ফ্ল্যাট।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য ঢাকার মতিঝিল, আজিমপুর, মালিবাগ, মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসন ২০০৮ সালে বিদ্যমান শতাংশ থেকে পর্যন্ত ২৬ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। দেশের প্রতিটি শহরের পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষিজমি রক্ষা পাবে, অন্যদিকে সবার মানসম্মত আবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী সবার মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপারে সর্বস্তরে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে অক্টোবরের প্রথম সোমবার জাতিসংঘভুক্ত সব দেশ বিশ্ব বসতি দিবস পালন করে আসছে। বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বাংলায় নির্ধারণ করা হয়েছে বৈষম্য হ্রাসের অঙ্গীকার করি, সবার জন্য টেকসই নগর গড়ি

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা এবং তীব্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতি বছর আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে আরো বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও দেশের আবাসন খাতে সাফল্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগাতি উপজেলায় আশ্রয়হীন ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন শুরু করেন। রাজধানী ঢাকার বাউনিয়াবাদে তিনি বাস্তুহারাদের বাসস্থানের জন্য ভূমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা নিহত হওয়ার পর কর্মসূচি স্থবির হয়ে পড়ে। অবশেষে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর সবার জন্য মানসম্মত আবাসন নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন