পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে এ মাসে। সবাই আমাদের কাছে ফোন করে জানার জন্য। গত মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। এ মাসে নেমেছে এবং ভালোভাবে নেমেছে। আমি যদিও অর্থনীতিবিদ নই, তবু আমি বলছি, আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি আরো কমবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সরকারের কৌশলগত ব্যবস্থা মূল্যস্ফীতি কমার কারণ উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কারণ তেলের দাম বেড়েছিল, কিন্তু এখন কমেছে। এক কোটি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে কম দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, তেল। আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরাসরি আঘাত করতে পেরেছি। তাই দাম কমে এসেছে। শুধু কমেনি, ভালো কমেছে। বিশ্ববাজারেও কমেছে। কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা মূল্যস্ফীতির পুরোটা তথ্য পেয়ে যাবেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জুনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরের মাসে সেটি কমে হয় ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, তবে আগস্টের তথ্য এখনো প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বিআইডিএসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গেস্ট অব অনার ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা সচিব মামুন-আল-রশীদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও বিবিএসের মহাপরিচালক মতিউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিবিএস যে জনশুমারি ও গৃহগণনা করেছে তার প্রাথমিক ফলের ওপর শুমারি-পরবর্তী যাচাই করবে বিআইডিএস। ১০-১৬ অক্টোবর সারা দেশে জনশুমারি ও গৃহগণনার পরবর্তী যাচাই (পিইসি) জরিপ হবে।
