চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেড়েছে পাট চাষের জমি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন নারী শ্রমিক ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। অন্য ফসলের তুলনায় পাটে লাভ বেশি হওয়ায় কয়েক বছর ধরেই জেলায় বাড়ছে পাটের আবাদ। বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাটের আবাদ হয়েছে হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ১৫০ হেক্টর বেশি। এরই মধ্যে জেলার অধিকাংশ জমির পাট কাটা শেষ হয়েছে। এখন পাট জাগ দেয়া পাট থেকে আঁশ সংগ্রহ করে তা বিক্রির উপযোগী করা হচ্ছে। পাটের আঁশ ছড়ানোসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অংশ নিচ্ছেন নারীরাও। মৌসুমের শুরুতেই বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে হজার ৫০০- হাজার ৬০০ টাকায়। দামকে ভালোই বলছেন কৃষক।

গ্রামীণ পথের ধারে খুব সকালে পাট ছড়ানোর দৃশ্য এখন জেলার অনেক এলাকাতেই দেখা মিলছে। গত কয়েক বছরে পাটের বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় পাটচাষে আবারো আগ্রহী হয়েছেন কৃষক। যেন সুদিন ফিরছে ফিকে হতে বসা সোনালি আঁশের।

শিবগঞ্জ উপজেলার রাকিব উদ্দীন, ওমর ফারুকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, এক বিঘা পাট চাষাবাদে খরচ হয় - হাজার টাকা। পাট বিক্রি করে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। অন্যদিকে এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে ২০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। লাভের কারণেই অনেকে জমিতে অন্য ফসল না করে পাট চাষ করছেন।

পাটের আঁশ ছড়ানোর কাজ করেন সাধারণত গ্রামের নারীরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অবসর পেলে পুরুষরাও হাত লাগান। পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে বেশ ব্যবহূত হয়। আর কারণে পাটের মৌসুমে অনেকেই আঁশ ছড়ানোর কাজ করে থাকেন। কাজে পাটকাঠিই পারিশ্রমিক, আর জমির মালিকের থাকে পাটের আঁশ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক . পলাশ সরকার জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি অর্থকরী ফসল পাট। গত বছর হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছিল। এবার জমির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজার ১৭৫ হেক্টরে। কিছুটা দেরিতে হলেও এরই মধ্যে জেলার অধিকাংশ খেতের পাটই কাটা শেষ হয়েছে। পাটের দাম হিসাব করলে গত বছর ছিল হাজার ২০০- হাজার ৬০০ টাকা, বছর সেটা শুরুই হয়েছে হাজার ৫০০- হাজার ৬০০ টাকা মণ দরে। দাম আরো বাড়বে বলে আমরা আশাবাদী। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন জেলার কৃষক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও তাদের সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন