প্রতিরোধে করণীয়

উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে বেশকিছু রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। সেসব থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উচ্চ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত ব্যক্তির ধমনি সরু হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এর ফলে হার্ট অ্যাটাকস্ট্রোকমিনি স্ট্রোক এবং পেরিফেরাল ধমনি রোগের (পিএডিঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে করোনারি হূদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ বা শারীরিক কার্যক্রমের সময় বুকে বা কাঁধে ব্যথা অনুভব করতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি।

কথায় বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো। উচ্চ কোলেস্টেরল অনেকটা নীরবেই শরীরের ক্ষতি করে চলে। তাই শুরু থেকেই  কোলেস্টেরল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার পরে চিকিৎসা নেয়ার তুলনায় আগেই কিছু প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া ভালো নয় কি?

খানিকটা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করেই নিজেকে  রোগ থেকে রাখতে পারেন সুরক্ষিত। সেক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) তাদের মতেনিজেকে  সমস্যা থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রথমত আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। কম লবণযুক্ত খাবার রাখুন নিজের খাদ্যতালিকায়। ফলসবজি  হোলগ্রেইন খাবার বেশি খান। প্রাণিজ চর্বি বাদ দিয়ে ভালো কোনো চর্বি যুক্ত করুন নিজের ডায়েটে। যেসব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি সেগুলোও খাওয়া কমিয়ে দিন। শরীর থেকে বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলুন এবং একটি নিয়ন্ত্রিত ওজন বজায় রাখুন। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিন। সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই অন্তত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করুন। সেই সঙ্গে নিজের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন