জেনে নিন কারণ ও উপসর্গ

উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে ঝুঁকি তৈরি হয় অনেক বেশি। সেজন্য দরকার ঠিকঠাক চিকিৎসা। তবে চিকিৎসা শুরুর আগে জেনে নিতে হবে সমস্যা তৈরি হওয়ার কারণ উপসর্গগুলো।

কোন ধরনের লাইপোপ্রোটিন বহন করে সেটার ভিত্তিতে শরীরে বিভিন্ন ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। যেমন লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এলডিএল) এবং হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (এইচডিএল) এলডিএলকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টেরল, এটি কোলেস্টেরলকে পুরো শরীরের ভেতরে প্রবাহিত করে। এলডিএল কোলেস্টেরল ধমনির দেয়ালে তৈরি হয় এবং সেগুলোকে খুবই শক্ত সরু করে তোলে। অন্যদিকে এইচডিএলকে বলা হয় ভালো কোলেস্টেরল। এটা বাড়তি কোলেস্টেরল যকৃতে ফেরত নিয়ে যায়।

অস্বাস্থ্যকর খাবার, স্থূলতা, ধূমপান, কম শারীরিক ব্যায়াম, মদ্যপান উচ্চ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি আপনার নিয়ন্ত্রণে না থাকা কিছু বিষয়ও কোলেস্টেরল বাড়ার ক্ষেত্রে বেশ বড় প্রভাব রাখতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জিনগত কারণে আপনার শরীরের জন্য এলডিএল কোলেস্টেরল বের করে দেয়া এবং সেটা যকৃতে নিয়ে ভেঙে ফেলা কঠিন হতে পারে। সেখানে বয়সও একটা ভূমিকা পালন করে।

তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, এইচআইভি বা এইডস, হাইপোথাইরয়েডিজম বা লুপাস রোগ থাকলে কোলেস্টেরল পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। 

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য চিকিৎসকরা বলছেন, রোগের তেমন কোনো লক্ষণ নেই। শুধু রক্ত পরীক্ষা করেই রোগ নির্ধারণ করা সম্ভব। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাঙ ব্লাড ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, একজন মানুষের প্রথম রক্ত পরীক্ষা হওয়া উচিত থেকে ১১ বছর বয়সে। তারপরে সেটা প্রতি পাঁচ বছরে একবার পরীক্ষা করানো উচিত।

এনএইচএলবিআইয়ের পরামর্শ, ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের প্রতি এক থেকে দুই বছরে একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা দরকার। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়সটা ৫৫ থেকে ৬৫। ৬৫ বছরের পরে প্রতি বছরে একবার করে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা দরকার।

যদি পরীক্ষার ফলাফল সুবিধাজনক রেঞ্জে না থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তার আপনাকে আরো ঘন ঘন পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেবেন। সেই সঙ্গে যদি আপনার পরিবারে কারো উচ্চরক্তচাপের ইতিহাস থাকে, হার্টের সমস্যা থাকে বা অন্যান্য কোনো ঝুঁকি যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপ থাকে তাহলে আরো ঘন ঘন পরীক্ষা করাতে বলতে পারেন।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন