ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

বেসরকারি পরিসংখ্যানে এগিয়ে লুলা দ্য সিলভা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভোট দেওয়ার পর সমর্থকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লুলা দ্য সিলভা ছবি: রয়টার্স

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট দিয়েছে দেশটির অধিবাসীরা, যা দেশটির কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বেসরকারি পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী ডানপন্থী জাইর বলসোনারোর তুলনায় লুলা দ্য সিলভা অনেকটাই এগিয়ে। খবর রয়টার্স।

নির্বাচন-পূর্ববর্তী অধিকাংশ জরিপে লুলাকে কয়েক মাস ধরে শক্তিশালী অবস্থানে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বলসোনারো ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক সংকট বা নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ভয়ে পরাজয় মেনে নেবেন না। ভোটের আগে রিও ডি জেনিরোর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তির ওপর পিস ইন দ্য ইলেকশনস লেখা একটি বার্তা ছিল।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়লাভ করবে সে-সংক্রান্ত অধিকাংশ সমীক্ষায় লুলাকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যদি তিনি ৫০ শতাংশ বৈধ ভোটও পেয়ে থাকেন তাহলে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণের আগে তিনি বড় ধরনের জয় পাবেন।

লুলা দ্য সিলভার ছবিতে আচ্ছাদিত রিও ডি জেনিরোর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেয়ার সময় দেশটির একজন অধিবাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন, সংস্কৃতি, শিল্প, বিজ্ঞান শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বলসোনারোর সরকার খুবই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে। আমরা বর্বর সরকারের অধীনে বসবাস করে এসেছি।

দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত নির্বাচনের সময় লুলা কারাগারে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বাতিল করে দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে বলসোনারোর বিপরীতে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। সাও বার্নার্ডো ডো ক্যাম্পোতে ভোট দেয়ার সময় লুলা তার ভাগ্যের নাটকীয় মোড় পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল।

লুলা বলেন, আজকের (রোববার) দিনটি আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চার বছর আগে একটি মিথ্যায় অভিযুক্ত হওয়ার কারণে আমি ভোট দিতে পারিনি। আমার দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে আমি চেষ্টা করতে চাই। অন্যদিকে রিওতে ভোট দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদে ডানপন্থী বলসোনারো। নির্বাচন-পূর্ববর্তী জরিপে পিছিয়ে থাকলেও প্রথম ধাপের ভোটেই জয়লাভের আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন ভোট গণনার তথ্যকে বিশ্বাস করেন না বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি যে ধরনের সমর্থন দেখতে পেয়েছেন সেটির সঙ্গে ভোটের ফলের কোনো মিল পাওয়া যায় না। ভোট দেয়ার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় বলসোনারো বলেন, সুষ্ঠু স্বচ্ছ নির্বাচন হলে প্রথম ধাপেই আমরা ৬০ শতাংশ ভোটে জয়লাভ করবো। আমাদের কাছে যেসব তথ্যপ্রমাণ আছে সেগুলো আমাদের পক্ষে। প্রতিপক্ষ রাস্তাতেও নামতে পারেনি, প্রচারণা চালাতে পারেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন