ছোট্ট মোনজাকে ঘিরে বড় আশা বেরলুসকোনির

ক্রীড়া ডেস্ক

মোনজায় মজেছেন সিলভিও বেরলুসকোনি ও আদ্রিয়ানো গ্যালিয়ানি ছবি: সংগৃহীত

ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি এসি মিলানে তার পুরনো সহচর আদ্রিয়ানো গ্যালিয়ানি আবারো জুটি বেঁধে এসি মোনজাকে নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। তবে এখানেই থামতে চান না ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

১১০ বছরের পুরনো ক্লাবটি সিরি- লিগে উত্তরণের পর শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে মাত্র এক পয়েন্ট সংগ্রহ করে দলটি। কিন্তু উচ্চাভিলাষী প্রেসিডেন্ট আর সিইও এটি মেনে নিতে পারেননি। ফলে ছাঁটাই হন কোচ জিওভানি স্ট্রোপা। নতুন দায়িত্ব পান মোনজার বয়সভিত্তিক দলের কোচ ৩৮ বছর বয়সী রাফায়েলে প্যালাদিনো। তিনি স্বপ্নের মতো সূচনা পেয়েছেন। জুভেন্টাসকে হারিয়ে হইচই ফেলে দেয় নবাগত মোনজা। সিরি- লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দলটিকে হারানোর পর হয়তো মোনজাকে ঘিরে ৮৬ বছর বয়সী বেরলুসকোনির আশাটা বেড়েই গিয়েছে। তার স্বপ্নটা আরো বড় হচ্ছে।

মিলান শহর থেকে ১২ মাইল উত্তর-পশ্চিমের শহর মোনজা মূলত ফর্মুলা ওয়ানের জন্য খ্যাতিমান। এখন শহরটিতে শীর্ষ লিগের একটি ফুটবল ক্লাবও থাকছে। এর মালিক বেরলুসকোনির রয়েছে লিগ জয়ের উচ্চাভিলাষ। শুধু উচ্চাভিলাষই নয়, তিনি ক্লাবটিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছেন।

১৯৮৬ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সময়কালে এসি মিলানের কর্ণধার ছিলেন বেরলুসকোনি। ওই সময় পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আটটি সিরি- শিরোপা জিতেছে তার ক্লাব। এসি মিলানের মালিকানা এখন অন্যদের হাতে। ঋণ করে ক্লাব না চালিয়ে তিনি এটি বিক্রি করে দেন। যদিও ফুটবলটা ছাড়তে পারলেন না। নতুন করে যুক্ত হয়েছেন মোনজার সঙ্গে। শুধু যুক্ত হওয়াই নয়, ক্লাবটিকে ঘিরে তারা বড় আশা, এটিকে তিনি এলিট ক্লাবে নিয়ে যেতে চান। এরই মধ্যে ক্লাবটিকে সিরি-সি থেকে তুলে এনেছেন সিরি- লিগে।

বেরলুসকোনি-গ্যালিয়ানি জুটির চার বছরের প্রচেষ্টা আর ৭০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের ফসল হিসেবে মোনজা এখন সিরি- লিগে। গত মে মাসে পিসাকে প্লে-অফে হারিয়ে সিরি- লিগে উত্তীর্ণ হয় মোনজা। তবে এটুকুতেই সন্তুষ্ট নন বেরলুসকোনি। প্লে-অফ জয়ের রাতেই তিনি ঘোষণা করেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য লিগ শিরোপা জয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উত্তীর্ণ হওয়া। আমি একজন বিজয়ী।

গত গ্রীষ্মের দলবদলে একঝাঁক হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় কিনে দল গোছায় মোনজা। তুরিনো থেকে আরমান্দো ইৎসা, উদিনেস থেকে পাবলো মারি, ইন্টার মিলান থেকে স্তেফানো সেনসি, আটালান্টা থেকে ম্যাত্তেও পেসিনা, ন্যাপোলি থেকে আন্দ্রেয়া পেতাঙ্গাকে কিনেছে বেরলুসকোনির মোনজা।

সম্প্রতি গ্যালিয়ানি বলেছেন, ইতালির খেলোয়াড় সই করানোই আমাদের অগ্রাধিকার ছিল। একজন বিদেশী খেলোয়াড়ের মানিয়ে নিতে সময় লাগে। কিন্তু আমাদের এখন অল্প সময়ের মধ্যে ১৫টি ম্যাচ খেলতে হবে। প্রথম তিন মাসে যদি সবকিছু ঠিকঠাক না হয় তবে আপনি ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবেন।

প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই হেরেছে মোনজা, ড্র করেছে একটি। লিগের সবচেয়ে দুর্বল আক্রমণভাগ, দুর্বল রক্ষণ নিয়ে মৌসুম শুরু করা দলটি গত গ্রীষ্মের উদ্দীপনাটুকু যেন হারিয়ে ফেলে। সেই উদ্দীপনা আর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব এখন প্যালাদিনোর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন