ভোমরা স্থলবন্দর

শুকনো মরিচ আমদানি ৩০% কমেছে, ঊর্ধ্বমুখী বাজার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে শুকনো মরিচ আমদানি ৩০ শতাংশ কমেছে। এদিকে আমদানি কমে যাওয়ায় ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে মসলাপণ্যটির বাজার। এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি শুকনো মরিচের দাম ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার ঊর্ধ্বমুখী, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি এবং বন্দরের সক্ষমতাসহ নানা কারণে আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়াকেও আমদানি কমার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে। অন্যদিকে মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যেও মন্দা দেখা দিয়েছে।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে হাজার ৭৭৯ টন। যার মূল্য ৮৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে কোটি ৫৪ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময় বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছিল হাজার ২৪৭ টন, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বেশি। আমদানীকৃত এসব শুকনো মরিচের দাম ছিল ৭৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা বিপণন প্রতিষ্ঠান মেসার্স মামা-ভাগ্নে ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী মো. জহুরুল হক বলেন, আমদানি কমে যাওয়ার কারণে শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। জহুরুল হক জানান, গতকাল তার প্রতিষ্ঠানে শুকনো মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৪৩০ টাকা কেজি দরে, যা এক মাস আগেও কেজিপ্রতি ৩৭০-৩৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।

ভোমরা স্থলবন্দরের মসলাজাত পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বলেন, ভারতে সরবরাহ কমে যাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি শুকনো মরিচের দাম বাড়ার কারণে আমদানি কমে গিয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে তার প্রতিষ্ঠানে ৩০-৩৫ শতাংশ আমদানি কমেছে শুকনো মরিচ। এখন সপ্তাহে সাত-আট ট্রাক শুকনো মরিচ আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু গেল অর্থবছরের একই সময়ে সপ্তাহে ২২-২৫ ট্রাক পর্যন্ত আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব শুকনো মরিচ ভোমরা বন্দরে পাইকারিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার নেয়ামুল হাসান বণিক বার্তাকে জানান, শুকনো মরিচ আমদানিতে সরকারের উল্লেখযোগ্য হারে রাজস্ব আয় হয়। সম্প্রতি বন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি কমে গিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন