টানা চার বছর পর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের এনজিওগ্রাম মেশিন চালু হয়েছে। পাশাপাশি চালু হয়েছে আড়াই বছর ধরে বন্ধ থাকা সিটিস্ক্যান মেশিনও। এতে কর্মব্যস্ততা ফিরেছে হাসপাতালের এনজিওগ্রাম ও সিটি স্ক্যান বিভাগে। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হলেও সার্বক্ষণিক মেশিন দুটি সচল রাখার দাবি রোগীদের। মেশিন দুটি পরিচালনায় দক্ষ টেকনিশিয়ান ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স নিয়োগের দাবি চিকিৎসকদের।
এনজিওগ্রাম মেশিনের ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা সেলিম জানান, ২৬ সেপ্টেম্বর চালু হয়েছে এনজিওগ্রাম মেশিন। চালুর পর থেকে স্বল্পখরচে রোগীরা পরীক্ষা করাতে পারছেন।
সিটি স্ক্যান মেশিনের ইনচার্জ মো. বাবুল জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে সিটিস্ক্যান মেশিন। এ মেশিন বন্ধ থাকায় রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মেরামতের পর মেশিনটি পুনরায় চালু হওয়ায় রোগীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। সিটি স্ক্যান বিভাগে প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী।
রোগীর স্বজন আব্দুল মোতালেব বলেন, বাইরে সিটি স্ক্যান করাতে ৪ হাজার টাকার মতো খরচ হতো। তবে হাসপাতালে এ পরীক্ষার খরচ প্রায় অর্ধেক। মেশিনটি আবার যাতে বন্ধ না হয় সেজন্য যথাযথ তদারকির দাবি করছি।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, কর্মরত টেকনিশিয়ানদের হাসপাতালের সামনেই সিটিস্ক্যান সেন্টার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাকায় সরকারি এ যন্ত্রগুলো অচল করে রাখেন তারাই। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। প্রয়োজনে নতুন টেকনিশিয়ান আনা প্রয়োজন।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মেশিন দুটি সচল করতে পেরেছি। এখন আর কোনো রোগীকে পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে যেতে হবে না। তাছাড়া মেশিন দুটি সচল রাখতে টেকনিশিয়ানের চাহিদা রয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর এনজিওগ্রাম মেশিনটি নষ্ট হয়। আর ২০২০ সালের ২০ জুন নষ্ট হয় সিটি স্ক্যান মেশিনটি। দীর্ঘদিন মেশিন দুটি অচল থাকায় বিভাগের রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।