মূল্যছাড় ও শক্তিশালী ডলারের চাপে নাইকি

বণিক বার্তা ডেস্ক

অন্য মুদ্রার তুলনায় ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে নাইকি। পণ্যের মজুদ কমানোর লক্ষ্যে মূল্যছাড়ও দিতে হচ্ছে। অবস্থায় মুনাফা নিম্নমুখী থাকবে বলে জানিয়েছে স্পোর্টসওয়্যার জায়ান্ট।

বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের অর্ধেকেরও বেশি আসে উত্তর আমেরিকার বাইরে থেকে। ডলারের বিনিময় হার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় অঞ্চলে সংস্থাটির বার্ষিক আয় ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে জুন-আগস্ট সময়ে সংস্থাটির মজুদ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। মূল্যছাড় দিয়েও সংস্থাটি মজুদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছে। এমন ঘোষণার পর নাইকির শেয়ারদর শতাংশেরও বেশি কমে যায়। নাইকির অর্থ বিভাগের প্রধান ম্যাথিউ ফ্রেন্ড বলেন, অন্য মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় গত তিন মাসে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে প্রতিবন্ধকতা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।

জুন-আগস্ট সময়ে নাইকির মুনাফা ১৫০ কোটি ডলারে নেমেছে। মুনাফার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কম। সংস্থাটি জানিয়েছে, পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি এবং মূলছাড় দেয়ার কারণে মুনাফার মার্জিনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

সময়ে সামগ্রিক মজুদ ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৯৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে ট্রানজিটে থাকা পণ্যের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। সময়ে সংস্থাটির আয় বেড়ে হাজার ২৭০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। আয়ের পরিমাণ ওয়াল স্ট্রিটের পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, জর্ডান কনভার্সসহ নাইকির ব্র্যান্ডগুলোর চাহিদা কমে গিয়েছে। ক্রেতারা জীবনযাত্রার সংকটের কারণে ব্যয় কমিয়ে দিয়েছেন।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনালের হিয়ানয়াং চ্যান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি অবশ্যই খরচ বাড়াচ্ছে, মুনাফার মার্জিন কমিয়ে দিচ্ছে এবং ভোক্তাদের ব্যয়ের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করছে।

প্রতিদ্বন্দ্বী স্পোর্টসওয়্যার নির্মাতা আন্ডার আর্মার এবং টার্গেটের মতো মার্কিন বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানও মজুদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছে। অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো মূলছাড় দিয়ে ভোক্তা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন