নৌপথে যাত্রী কমলেও লক্ষ্য পণ্য পরিবহন বাড়ানো

নদীমাতৃক বাংলাদেশে যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ছিল নৌপথ। উন্নত সড়ক ব্যবস্থা সে জনপ্রিয়তায় ভাটা এনেছে। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌ-পরিবহনগুলোয় যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ছে। দেশে নৌ-পরিবহন সেবার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নতুন উদ্যোগ চ্যালেঞ্জ নিয়ে বণিক বার্তার মুখোমুখি হয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আল ফাতাহ মামুন 

পদ্মা সেতুর প্রভাবে নৌপথের জৌলুস কমে গিয়েছে?

পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করেছে। আগে ঢাকা থেকে এসব অঞ্চলের কোনো কোনোটিতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। পদ্মা সেতু দ্বিতীয় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এরপর যখন রেল সংযোগ আসবে তখন তিন ধরনের বাহনের মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে মানুষ যাতায়াত পণ্য পরিবহনের জন্য নিজস্ব পছন্দ বাছাই করার সুযোগ পাবে। জৌলুস কমে যাওয়ার প্রশ্নটি এখানে প্রাসঙ্গিক নয় বলেই মনে করি।

নৌপথের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে বিআইডব্লিউটিএ কী করছে?

ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে নৌপথের জনপ্রিয়তা সব সময়ই থাকবে। একটু আগেই বললাম আকাশপথ বাদ দিলেও মানুষ তিন পথ তথানৌ, সড়ক রেলপথে যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও চাচ্ছেন, সড়কের চেয়ে রেল নৌপথে পণ্য পরিবহন বেশি হোক। আমরাও চেষ্টা করছি, নৌপথে পণ্য পরিবহন ধীরে ধীরে বাড়ুক। এটা সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধবও। এজন্য যা যা করণীয়, বিআইডব্লিউটিএ তা করছে। বিশেষ করে আমরা বন্ধ নৌপথগুলো সচল করার জন্য চেষ্টা করছি। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছি। এখন প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ সংরক্ষণ করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো সব মৌসুমেই যাতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সচল থাকে তা নিশ্চিত করা। আমাদের বন্দর সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। এর মধ্যে বেশকিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। আমাদের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট উন্নয়নের কাজ চলছে। নগরবাড়ী চিলমারী নদীবন্দরের কাজ চলছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘাট এবং বন্দর উন্নয়নের কাজ চলছে। মিরসরাই সন্দ্বীপ আধুনিকায়ন করছি। এভাবে পণ্য পরিবহনের পাশাপাশি যাত্রী পরিবহন সেবা বৃদ্ধির জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সড়ক রেলের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ার কারণেই কি নৌপথকে ঢেলে সাজানো সম্ভব হয় না? 

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। প্রাকৃতিক কারণেই আমরা সৌভাগ্যবান যে আমাদের পণ্য যাত্রী পরিবহন সব সময়ই নৌপথে বেশি হয়ে আসছে। সরকারের সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরুতে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নের দিকে নজর দেয়া হয়। ফলে আমাদের নৌ রেলপথে বাজেট বরাদ্দ কিছুটা কমে যায়। তবে এখন কিন্তু নৌপথসহ তিন পথেই বাজেটে একটা সুষম বরাদ্দ হচ্ছে। আমরা আশা করছি, নৌ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়বে। আপনারা লক্ষ্য করবেন, নৌপথ উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি আমাদের প্রকল্পের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে কভিড যুদ্ধ পরিস্থিতি আমাদের কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছে, ফলে আমাদের প্রকল্প অনুমোদনে কিছুটা ধীরগতি দেখা গিয়েছে। কিন্তু সরকার আমাদের নৌপথের ব্যাপারে আন্তরিক এতে কোনো সন্দেহ নেই।

অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনার পর নৌ নিরাপত্তায় কী কী পরিবর্তন এসেছে? সুপারিশগুলো মানা হচ্ছে কি?

আমাদের দেখা বড় ধরনের নৌ দুর্ঘটনার মধ্যে অভিযান-১০ লঞ্চের অগ্নিকাণ্ড অন্যতম। এটি নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে ছিল। যে সুপারিশগুলো এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, এখানে বেশ কিছু দুর্বলতা আছে। আমরা পাঁচটি মনিটরিং টিম করেছি। তারা প্রতিনিয়ত নৌযানগুলো মনিটরিং করছে। কোনো সমস্যা থাকলে তা চিহ্নিত করছে। অগ্নিকাণ্ডসহ দুর্ঘটনা রোধে কোনো বিষয় থাকলে তা দ্রুত চিহ্নিত হচ্ছে এবং নিয়ে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। এছাড়া নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর, যাদের দায়িত্ব নৌযানের ফিটনেস দেখা, তারা দেশের সব নদীবন্দরে সতর্ক অবস্থান করছে। আমরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মিলে কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এখানে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। নৌযান মালিকরাও সহযোগিতা করছেন। এছাড়া আমরা যাত্রীদের মধ্যে প্রায়ই সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করে থাকি।

অভিযান-১০ দুর্ঘটনায় নৌ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বিআইডব্লিউটিএর একজন কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

সরাসরি আমাদের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দায়ী করা হয়নি। তবে তাদের আরো দায়িত্ববান হওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি তাদের সতর্ক করার জন্য। বিভাগীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের বদলি করে অন্য জায়গায় নেয়া হয়েছে এবং তারা যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

নতুন বন্দরগুলোয় লোকবল সংকট নিরসনে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?

আমাদের জনবলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে দেয়া আছে। সেটি নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। জনবল বাড়ানোর চেয়ে আমরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। জনবল যত বাড়বে, সরকারের ব্যয়ও তত বাড়বে। আমরা শুধু মনিটরিং অর্থনৈতিক কার্যক্রমগুলো সঠিকভাবে চালাতে ন্যূনতম জনবল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বলা হয়, সদরঘাট পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর। এর ভিত্তি কী? স্বীকৃতির জন্য কোনো কাজ করছেন?

আমরা আসলে যাত্রী পরিবহনের দিক বিবেচনা করে সদরঘাটকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর বলি। আমি জানি না এর চেয়ে বড় এলাকাজুড়ে আর কোথাও নদীবন্দর আছে কিনা। বিশেষ করে বাংলাদেশ কিন্তু নদীমাতৃক দেশ। জনবহুল দেশও। এখানে যে পরিমাণ মানুষ নৌপথ ব্যবহার করেন, পৃথিবীতে কিন্তু এমন উদাহরণ পাওয়া যাবে না। রাজধানীর প্রধান বন্দর হিসেবে এখানে বছরে কোটির ওপরে যাত্রী পরিবহন হয়। দিনে ৩০-৩৫ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করে। প্রসঙ্গটি যেহেতু এসেছে, আমি যাচাই-বাছাই করে দেখব এবং সঠিক পরিসংখ্যান মিলিয়ে এর স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে বিবেচনা করব।

সদরঘাট নিয়ে আর কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে? প্রায়ই বিআইডব্লিউটিএ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে মুখোমুখি হতে দেখা যায়।

আসলে এখানে বিরোধ বা মুখোমুখি হওয়া না-হওয়ার বিষয় নয়। দক্ষিণের মেয়র চাচ্ছেন, নদীর পাশে যে ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো আছে, দর্শনার্থীরা যেন সেগুলো নদী থেকেই উপভোগ করতে পারেন। আমরা বিষয়ে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঢাকার চারপাশের নদী নিয়ে যে প্রকল্প আছে, আমাদের সেখানে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। পুরনো স্থাপনা বিশেষ করে লালকুঠি আহসান মঞ্জিল যেন দর্শনার্থীরা নদী থেকেই অবলোকন করতে পারে, আমরা সে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বিশেষ করে সদরঘাটের যাত্রীচাপ কমানোর জন্য শ্মশানঘাট অর্থাৎ পোস্তগোলায় বুড়িগঙ্গা সেতুর পাশেই আরেকটি নদীবন্দর স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছি। টেন্ডারও হয়েছে। সরকার অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করব। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরেই কাজটি শুরু করতে পারব। সদরঘাটের যানজট কমাতে পারলে এখানে আরো নান্দনিক অবস্থা বিরাজ করবে। এক্ষেত্রে এখনো আমাদের একটি সমস্যা থেকে যাচ্ছে, গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবস্থাটার জন্য আমরা বেশ সমস্যায় পড়ছি। এখানে প্রচুর জ্যামে কষ্ট পেতে হয় মানুষকে। আমরা প্রস্তাব রেখেছি, গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত কোনো ফ্লাইওভার করার জন্য অথবা এখানের ট্রাফিককে উন্নত করা গেলে সমস্যা কমে আসবে।

বুড়িগঙ্গা তীরের অবৈধ ডকইয়ার্ডগুলো দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন?

আমাদের ঢাকার চারপাশে নদীর তীরভূমিতে যে সমস্যা ছিল সেটা কিন্তু আমরা প্রায় মিটিয়ে ফেলেছি। ছোটখাটো সমস্যা থাকতে পারে। পুনর্দখল থাকতে পারে। তবে আপনারা যদি লক্ষ্য করেন ঢাকার চারপাশের পাঁচটা নদীর অধিকাংশ জায়গায় সীমানা পিলার বসে গিয়েছে। এখন আমরা ওয়াকওয়ের কাজ করছি। আমাদের প্রায় ৫২ কিলোমিটারের মতো ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে ১০ কিলোমিটারের কাজ দৃশ্যমান। এর আগে ২০ কিলোমিটারের মতো ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেছি। আগামী বছরের মধ্যে আশা করছি ৭২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ হয়ে যাবে। ফলে দখল করার মতো পরিস্থিতি আর থাকবে না। কিন্তু সদরঘাটের অন্য পাশে যে ডকইয়ার্ডগুলো আছে, সেখানে প্রায় ৩৩টি ডকইয়ার্ড আছে। এগুলো আসলে বিরাট শিল্পকর্ম। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে নৌযানগুলো চলাচল করছে, এগুলো সারাই বা সার্ভিসিং হয় এখানে। ফল ডকইয়ার্ডগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করছি এগুলো স্থানান্তরের জন্য। মন্ত্রণালয় থেকেই আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাপারে আমরা একটি প্রকল্প নেব। আমাদের সমীক্ষার কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি, বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরীর ভাটিতে যে খালি জায়গাগুলো আছে, সেখানে ডকইয়ার্ডগুলো স্থানান্তর করার জন্য। সমীক্ষা শেষ হলে আগামী অর্থবছর আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প জমা দিতে পারব এবং পর্যাক্রমে কাজেও নেমে যাব।

করোনা-পরবর্তী সময়ে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ কার্যক্রম খুব একটা দেখা যাচ্ছে না কেন

গত দুই বছর আমরা ব্যাপক উচ্ছেদ করেছি। সরকার আমাদের সঙ্গে ছিল। বিচার বিভাগও আমাদের সহযোগিতা করেছে। গণমাধ্যমের সমর্থন পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে ঢাকার চারপাশের নদ-নদী দখলমুক্ত করে সেখানে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দিচ্ছি। ফলে এখন সে পরিমাণ উচ্ছেদ আমরা করছি না। এখন আমরা তীর রক্ষার কাজ করছি।

আপনি দায়িত্ব নেয়ার আগে বিআইডব্লিউটিএ কোথায় ছিল, ঠিক কোথায় পরিবর্তন এসেছে?

বিআইডব্লিউটিএ মূলত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নদী ব্যবস্থাপনা, নৌ-পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বেশকিছু প্রকল্প চলমান ছিল। প্রায় ২৩টার মতো। এর মধ্যে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে গুরুত্ব দিয়ে বলেছিল, আমাদের নৌপথ ১০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করতে এবং এর সংরক্ষণে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ঢাকার চারপাশের নদ-নদীর পরিবেশগত উন্নয়ন এবং নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল রোধ করার বিষয়টিতেও সরকার গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছে। এছাড়া এসডিজি বাস্তবায়নে নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার কথাও সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা ছিল। সে অনুযায়ী আমরা কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে এসেছি। আগে যে অবস্থায় ছিল সেখান থেকে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনামতোই এগোচ্ছি।

বিআইডব্লিউটিএতে সুশাসন নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন?

সুশাসনের জন্য কিন্তু সরকারের বড় ধরনের উদ্যোগ রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ কিন্তু তার আওতার মধ্যেই। আমাদের সবসময় জবাবদিহি করতে হয়, কাজের প্রতিবেদন পাঠাতে হয় মন্ত্রণালয়ে। তারাও তদারকি করে। বিশেষত আপনারা জানেন, আমরা শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছি। অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছি। আশা করছি, বছরও আমরা ভালো করব। তবে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। যদি কেউ যাত্রীসেবায় অবহেলা করে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আমরা বাধ্যতামূলক অবসরও দিয়েছি যাত্রীসেবায় ব্যর্থতার জন্য। এছাড়া আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। যাত্রীদের জন্য ১৬১১৩ নম্বরে একটি হটলাইন চালু করেছি। এর মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন। আমরা সে আলোকে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন