সময়ের ভাবনা

খাদ্য উৎপাদন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব

মো. আখতারুজ্জামান

কৃষি শিল্প একই বন্ধনে আবদ্ধ। উভয়ই একে অন্যের পরিপূরক। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব একটি উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি, এটি এমন একটি সুযোগকে কেন্দ্র করে, যা মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। কৃষি খামার কারখানা দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে স্মার্ট প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়। তাই আমাদের আরো উদ্ভাবনীসম্পন্ন হতে হবে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে গ্রহণ করার জন্য সেন্সর আইওটি নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং বড় তথ্যভাণ্ডার (বিগ ডাটা) একত্র করে তা বিশ্লেষণপূর্বক নির্ভুলভাবে কৃষিতে প্রয়োগ জরুরি। এর ফলে আবহাওয়ার তথ্য, ফসলে আগাম রোগ পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করা, মাটির পিএইচ, পুষ্টিগুণ আর্দ্রতা পরিমাপ করা, ফসলের পরিপক্বতার সময় নির্ণয় এবং ফসলের স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে, যা মানুষের পক্ষে করা অনেক জটিল সময়সাপেক্ষ। এটা এমন একটা শিল্প বিপ্লব, যা রোবোটিক প্রযুক্তির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তার নির্ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষিকে বহুমাত্রিক ক্ষেত্রে প্রসারিত করবে এবং স্মার্ট পর্যবেক্ষণের মধ্যে ফসলে নিখুঁত উৎপাদন কৌশলকে অনেক সহজ করে তুলবে, প্রযুক্তি সামান্য মানবিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের ডাটা থেকে রিয়েল টাইম তথ্য পুনরুদ্ধার করে ফসল ব্যবস্থাপনাকে অনেক সহজ করে দেবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলো এমন একটি স্মার্ট কৃষি খামার ব্যবস্থা তৈরি করে থাকে, যা উন্নত করে তুলবে ফসলের উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতের কৌশল এবং কৃষিতে আনবে টেকসই পরিবর্তন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং তাদের মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রাখবে। বাংলাদেশের কৃষিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমরা দেখতে পাই, নতুন নতুন উদ্ভাবনী এবং প্রযুক্তি যেমন সুবিধা দেয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে, একই সঙ্গে আবহাওয়ার নিখুঁত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে উৎপাদনের ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল ২০১১ সালে জার্মানিতে শুরু হওয়া প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে, যার ফোকাস ছিল কম্পিউটারাইজেশন এবং এর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে উদ্ভাবনী উৎপাদন ধারণা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এমন একটি সমন্বিত উদ্যোগ যেখানে ভ্যালু চেইনের সবার কাজের সমন্বয়ে গঠিত অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমে ফসলের উৎপাদন কৌশল নিয়ে কাজ করার একটি প্রক্রিয়া। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে যেখানে ভৌত, জৈবিক এবং ডিজিটাল জগতে অন্তর্ভুক্ত করে বড় ডাটা ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন সেবার মান উন্নয়ন করা হয়ে থাকে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কৃষি ক্ষেত্রের মান উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিকীকরণকে ত্বরান্বিত করার একটি সময়োপযোগী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনগুলোর সমন্বয়ে প্রত্যাশিত পরিবর্তন আনবে, বিশেষত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং সেন্সর স্বনিয়ন্ত্রিত রোবটগুলো ব্যবহার করে কৃষির সমস্যা সমাধান করাকে বোঝায়। জাতীয় বুদ্ধিমান মেশিনগুলো ফসলের ফলন বৃদ্ধি মান যাচাই, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, দুধ মাংস উৎপাদনের জন্য প্রাণী পালন এবং ড্রোন দিয়ে কৃষি রাসায়নিক প্রয়োগে ব্যবহার হয়ে থাকে। অন্যান্য চাষের নির্দিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী ফসলের বিকাশের জন্য নতুন ধরনের জিন এডিটিং জিন ট্রান্সফার করা; ঊর্ধ্বমুখী খামার ব্যবস্থা, স্বয়ংক্রিয় গ্রিনহাউজ, সিনথেটিক বায়োলজি ল্যাবে নতুন পণ্য উৎপাদন এবং উদ্ভিদ উৎস হতে প্রটিনসমৃদ্ধ মাংস তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষি উৎপাদনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব কী কী পরিবর্তন ঘটাবে

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার করে শস্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কেবল ফসলের স্বাস্থ্যের অবস্থাই নয়, জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্য, পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য এবং শস্যের বৃদ্ধির তথ্যও বহুদূর হতে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সিস্টেমের ত্রুটি এবং ফসলের বৃদ্ধি, আবহাওয়া এবং কৃষিজাত সরঞ্জাম সম্পর্কিত ডাটা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলন অর্জন করা সম্ভব, ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সিস্টেম ত্রুটি বা অন্যান্য কারণে ফসলের উৎপাদন ঝুঁকির আশঙ্কা হ্রাস করা সম্ভব।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে রিমোট সেন্সরিংয়ের মাধ্যমে খামার পর্যবেক্ষণের তথ্য বিশ্লেষণ করা এবং প্রয়োজনীয় খামার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। পর্যায়ে সংগৃহীত ডাটা সংগ্রহ করা, প্রক্রিয়াজাত এবং বড় ডাটা বিশ্লেষণ করা হয়। তারপরে, ডাটা সম্পর্কে দক্ষ এবং সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলো এমনভাবে করা হয়, যা মানুষের বুদ্ধি-প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকেও ছাড়িয়ে যাবে।

অন্যদিকে বড় ডাটা ব্যবহার করে একটি কৃষি পরিষেবা প্লাটফর্মের মাধ্যমে আবাদ সম্পর্কিত পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। সংগৃহীত তথ্যটি বাজারের চাহিদা বিশ্লেষণপূর্বক বাজারজাতের প্রবণতা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হয় এবং ডাটা (চাষের পরিবেশ, কীটপতঙ্গ সম্পর্কিত তথ্য, জলবায়ু আবহাওয়ার তথ্য, মাটির উর্বরতা, টপোগ্রাফিক্যাল প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদি) কৃষকের অনুকূলে ব্যবহার উপযোগী করে কৃষকের উৎপাদন পরিবেশ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে রাখা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় তথ্য এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রযুক্তিগুলো) কৃষি প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। আগামীতে আইন, বিধিমালা এবং সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে চরমভাবাপন্ন জলবায়ুর প্রভাবে বেড়ে ওঠা প্রচলিত খাদ্য ফসল এবং বায়োটেক ফসলের চাষ করা সম্ভব হবে, এমনকি প্রাণীর জিনগুলোকে আরো অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক এবং স্থানীয় পরিবেশের জন্য উপযোগী করার জন্য তাদের জিনের রূপান্তর করাও সম্ভব হবে। স্মার্ট ফার্ম মেশিনারি ব্যবহার করে পরিবর্তনশীল পরিবেশে কৃষকের জন্য উপযোগী ফসল নির্বাচন সহজ হবে। খামারের কৃষি জলবায়ু বিশ্লেষণপূর্বক ফসল উৎপাদনের উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন তার যথাযথ পরিমাণ নির্ণয় করা সহজ হবে। বড় বড় খামারে স্বনিয়ন্ত্রিত ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ ফসলের পরিচর্যা (সার কীটনাশক প্রয়োগ ইত্যাদি) যথাযথভাবে করে নির্দিষ্ট সময়ে ফসল সংগ্রহ করা সক্ষম হবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি এরূপ হবে যে, রাতে কৃষক যখন ঘুমিয়ে থাকেন, তখন একটি স্বনিয়ন্ত্রিত রোবট এফপিএস এবং পূর্ব প্রোগ্রামকৃত মানচিত্র অনুসরণ করে পরিচালিত হয়ে জমিতে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় যেকোনো কৃষিকাজ শেষ করে ফেলতে পারবে এবং কৃষক ঘুম থেকে ওঠার আগেই রোবট ঘরে ফিরে যেতে পারবে। স্বপ্ন অদূর ভবিষ্যতেই একটি বাস্তবতা হবে।

প্রধানত তিনটি উপায়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে বড় প্রভাব ফেলবে। প্রথমত, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার সুনির্দিষ্ট অপ্টিমাইজেশন কৃষিতে বিদ্যমান অনেক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। কৃষিকাজ একটি প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্প, যা ইনপুট এবং আউটপুটগুলোর মধ্যে আবহাওয়া সময়াবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণের অভাবে প্রায়ই আশানুরূপ ফলনপ্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য উৎপন্ন হয়, তবুও উৎপাদিত খাবারের ৩০-৫০ শতাংশ অপচয় হয়, অন্যদিকে অনেকে অনাহারে মারা যায়। পৃথিবীর মিষ্টি পানির প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষি ক্ষেত্রের জন্য ব্যবহূত হয়, তার পরও ফসল উৎপাদনে কেবল কার্যকরভবে ব্যবহূত হয় পানির শতকরা ২০ ভাগ পানি এবং অবশিষ্ট পানি অপচয় হয়। আবার অধিক নাইট্রোজেন সার ব্যবহারের ফলে ফসলে রোগ পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। সমস্যাগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিখুঁত কৃষি (প্রেসিসন এগ্রিকালচার) ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। নিখুঁত কৃষি, এমন একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে শস্যকে সঠিকভাবে পরিচর্যার জন্য তার বৃদ্ধি এবং মাটির অবস্থা রিমোট সেন্সরের মাধ্যমে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে, যা ফসল উৎপাদন, বিতরণ এবং উৎপাদন ব্যয়কে হ্রাস করে একটি কাঙ্ক্ষিত কৃষি ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে কৃষকের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবে।

দ্বিতীয়ত, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মানবসম্পদসহ প্রচলিত গ্রামীণ উৎপাদন উপাদানগুলোর চাহিদার যে পরিবর্তন আনবে তা কৃষিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। 

তৃতীয়ত, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রযুক্তি আবহাওয়া সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। আবহাওয়ায় কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রচলিত বিজ্ঞান ব্যবহার করে সঠিকভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমরা বলে থাকি, ঈশ্বরের কৃপার ওপরই কৃষককে নির্ভর করতে হয়। কারণে কৃষিকাজটি মানুষের অভিজ্ঞতাসহ বুদ্ধি প্রতিভার ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল এবং এর ফলে আবহাওয়ানির্ভর কৃষিতে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা কঠিন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি এমন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে, যা মানবিক জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে যাবে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এখন থেকে পাঁচ বা দশ বছরে বিশ্বে একটি ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তিগুলো এরই মধ্যে সীমিত আকারে ব্যবহার শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এসব প্রযুক্তি বিশ্বকে পুনরায় নতুন রূপ দেবে, সে প্রযুক্তিগুলো পরীক্ষাগার প্রটোটাইপ হিসেবে ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। যদিও এর মধ্যে অনেকগুলো প্রযুক্তি রয়েছে, যা এখনো বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে, যা শারীরিক ডিজিটাল এবং জৈবিক প্রযুক্তির সংশ্লেষে বিকশিত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির অপ্রতিরোধ্য রূপান্তর এরই মধ্যে বাস্তব রূপ লাভ করেছে। রোবোটিকস, ‘ইন্টারনেট অব থিংস স্বনিয়ন্ত্রিত/স্বায়ত্তশাসিত যানবাহন, থ্রিডি প্রিন্টিং, ন্যানো প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইত্যাদি। জৈবিক-সাইবার-ফিজিক্যাল সিস্টেমগুলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল ভিত্তি হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং মানবকাজ সম্পন্ন করার জন্য এবং এদের ফিউশনে এআইএর পাশাপাশি মেশিন লার্নিং যোগ করে একাধিক জটিল ড্রাইভার এবং ক্রসকানেক্টেড প্রযুক্তিতে সেট করা একটি সিস্টেম, যেমন প্রযুক্তিগত মেগাট্রেন্ডগুলোকে ফিজিক্যাল ক্লাস্টার প্রযুক্তি (যেমন স্বনিয়ন্ত্রিত যানবাহন, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং উন্নত রোবোটিকস) ডিজিটাল (উদাহরণস্বরূপ ইন্টারনেট অফ থিংস, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বিটকয়েন) এবং জৈবিক প্রবণতা (উদাহরণস্বরূপ জেনেটিক সিকোয়েন্সিং, সিনথেটিক বায়োলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং জিন এডিটিং)— তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মেগাট্রেন্ডগুলোর আপাতদৃষ্টিতে উৎকর্ষে যথেষ্ট অগ্রগামী হওয়া সত্ত্বেও এটি ব্যবহারিক প্রয়োগ এবং এর প্রতিনিয়ত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

 

মো. আখতারুজ্জামান: নির্বাহী পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন