সূচক বাড়লেও অধিকাংশ শেয়ারদর অপরিবর্তিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি সপ্তাহে টানা তৃতীয় কার্যদিবস পতনের পর গতকাল সামান্য উত্থান হয়েছে পুঁজিবাজারে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচকে সামান্য উত্থান হলেও লেনদেন কমেছে। এদিন এক্সচেঞ্জটির লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক বাড়ার পাশাপাশি অধিকাংশ সিকিউরিটিজের শেয়ারদর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর ১৩ মিনিট পর্যন্ত ইতিবাচক ছিল সূচক। এর পর থেকেই পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচক। অবশ্য সকাল ১০টা মিনিট থেকে আবারো ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরে পুঁজিবাজার। বেলা ১১টা মিনিট পর্যন্ত ধারা অব্যাহত থাকে। সময় পর্যন্ত ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৩০ পয়েন্টের বেশি। তবে শেয়ার বিক্রির চাপে এর পর থেকেই নিম্নমুখী হতে শুরু করে সূচকটি। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় মাত্র পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩২৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৪১৩ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিকস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ইস্টার্ন হাউজিং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল হাজার ৪৮৪ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৭১টির, কমেছে ১১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৮৬টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বিবিধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কাগজ মুদ্রণ খাত। আর খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল পুঁজিবাজারে সিরামিক খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে ভ্রমণ আবাসন খাতে, দশমিক শতাংশ।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০৯টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১০১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১০৩ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন