অর্ধেক প্রজাতির পাখি কমেছে

বণিক বার্তা অনলাইন

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক প্রজাতির পাখির সংখ্যা কমেছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরেছে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল। সেখানে বলা হয়, পাখিদের টিকে থাকার সঙ্গে মানুষের ভবিষ্যতও জড়িত। তাই এখনই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। খবর দ্য গার্ডিয়ান। 

প্রতি চার বছর পরপর দ্য স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস বার্ডস রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল। এবারের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কৃষির সম্প্রসারণ ও এর তীব্রতা ৭৩ শতাংশ প্রজাতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। 

ক্রমাগত গাছকাটা, অন্য প্রজাতির আক্রমণ, প্রাকৃতিক সম্পদের উত্তোলন ও জলবায়ুর পরিবর্তন পাখির সংখ্যা কমার পেছনে প্রধান অনুঘাটক হিসেবে কাজ করছে।

বিশ্বব্যাপী ৪৯ শতাংশ প্রজাতির পাখির সংখ্যা নিম্নগামী। প্রতি আট প্রজাতির মধ্যে একটি বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। ১৫০০ সাল থেকে অন্তত ১৮৭টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিলুপ্তদের বেশিরভাগই দ্বীপে বসবাসকারী স্থানীয় প্রজাতি। তবে বৃহত্তর স্থলভাগেও বিলুপ্তির প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে। যেমন, ইথিওপিয়ার তৃণভূমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর করার ফলে ২০০৭ সাল থেকে স্থানীয় লিবেন লার্ক ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বব্যাপী মাত্র প্রজাতির পাখি ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৯৭০ সাল থেকে উত্তর আমেরিকায় ২৯০ কোটি বা মোট পাখির ২৯ শতাংশ কমে গিয়েছে। ১৯৮০ সাল থেকে ইউরোপে ৬০ কোটি বা পাখির ১৯ শতাংশ কমে গিয়েছে, আগে প্রচুর ছিল এমন কমন সুইফ্ট, কমন স্নাইপ এবং রুক বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

ইউরোপের কৃষিভূমির সবচেয়ে বেশি পাখি হারিয়েছে। কৃষির অতি যান্ত্রিকীকরণ, রাসায়নিক ব্যবহার ও আনাবাদী ভূমিকে ফসলি জমিতে রূপান্তরের ফলে ৫৭ শতাংশ পাখি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ২০০০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সামুদ্রিক পাখির প্রজাতির ৪৩ শতাংশ কমে গিয়েছে।

এমন আশঙ্কাজনক চিত্র সম্পর্কে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান বিজ্ঞানী ডা. স্টুয়ার্ট বুচার্ট বলেন, পাখির সংখ্যা কমা বন্ধ করতে হবে এবং পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ শুরু করতে হবে। আমাদের, সেই সঙ্গে পাখিদের ভবিষ্যত এর উপর নির্ভর করছে। আমরা যদি জীবনের সুতো আলগা করতে থাকি, তাহলে নিজেদের ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলতে চলেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন