শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা ৭৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমার পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালস তহবিলে প্রায় কোটি ৩৬ লাখ টাকা জমা দেয়ার পর তহবিলে জমার পরিমাণ ৭৫২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত অর্থবছরের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ হিসেবে অর্থ জমা দেয়া হয়। গতকাল সচিবালয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের কাছে বেক্সিমকোর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চেক হস্তান্তর করে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, কোম্পানির নিট লাভের শতকরা ভাগের এক-দশমাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। পর্যন্ত দেশী-বিদেশী এবং বহুজাতিক মিলিয়ে ২৯৩টি কোম্পানি তহবিলে নিয়মিত লভ্যাংশ দিয়েছে। তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ শ্রমিককে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আলী নাওয়াজ চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এছাড়া চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক . মোল্লা জালাল উদ্দিন, যুগ্ম সচিব মো. মহিদুর রহমান, দুই ফার্মাসিউটিক্যালসের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগের পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এমএ এরশাদ ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ব্যবসা-বাণিজ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ১০০ টাকা লাভের বিপরীতে টাকা শ্রমিক কল্যাণে ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা ছিল। টাকার ৮০ শতাংশ শ্রমিকদের সঙ্গে ভাগাভাগি এবং ২০ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা দেয়ার বিধান রাখা হয় ওই আইনে। পরবর্তী ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে ১০ শতাংশ সরকারের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে এবং বাকি ১০ শতাংশ কল্যাণ তহবিলে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। এর ব্যত্যয় হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত শ্রম আইনে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন