নিউজউইকের প্রতিবেদন

ওয়ালটনকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড স্বীকৃতি

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী নিউজউইকের এক বিশেষ প্রতিবেদনে ওয়ালটনকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ালটন বাংলাদেশের করপোরেট খাতের গর্ব। ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন নতুন স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক বাজার সৃষ্টিতে ওয়ালটন বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এবার প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ওয়ালটনের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সমান্তরাল। ২০০৮ সালে ওয়ালটন বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় এসব পণ্য বিলাসদ্রব্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু বর্তমানে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে রেফ্রিজারেটর আছে। গত এক দশকে বাংলাদেশে রেফ্রিজারেটরের বাজার ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নিউজউইক বলছে, ওয়ালটন বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল ফোন, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ল্যাপটপ এবং এলিভেটর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ৭০০ একর জায়গাজুড়ে ওয়ালটনের প্রডাকশন প্লান্ট গড়ে উঠেছে। যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের। ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতে রফতানিনির্ভর দেশ থেকে বাংলাদেশকে ওয়ালটন শুধু স্বনির্ভরই করেনি, বরং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি সম্প্রসারণ করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন নতুন করে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্র্যান্ডকে মোবাইল ফোন সরবরাহে ২০২০ সালে ওয়ালটন চুক্তি করেছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে তিনটি ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ডের স্বত্ব কিনে নিয়েছে। চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় গবেষণা উদ্ভাবন সেন্টার চালুর মাধ্যমে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের ৪০টি দেশের বাজারে ওয়ালটনের উপস্থিতি রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন