এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক

পাঁচ বছরে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা জোগানের প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-এডিবি কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্র্যাটেজি (২০২১-২৫) বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। প্রেক্ষাপটে আগামী পাঁচ বছরে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার জোগানের আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এফসিএ। তিনি বলেছেন, আমাদের উন্নয়নের মাইলফলক অর্জনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ক্রমাগত সমর্থন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গতকাল দুপুরে ম্যানিলায় এডিবির সদর দপ্তরে বার্ষিক সভার অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালের সঙ্গে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়ার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এডিবির ক্রমবর্ধমান অর্থায়ন দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক বিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে মোট বকেয়া ১১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্ষমতার সঙ্গে নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে চলেছে। বাংলাদেশের ৫১ বছরের যাত্রায় কখনই দেশী-বিদেশী ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। জিডিপি অনুপাতে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম ঋণের দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, মাত্র ৩৪ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কভিড-১৯-এর সংকটে এডিবি দ্রুত সাড়া দেয়ার ক্ষেতে প্রেসিডেন্টের সক্রিয় এবং গতিশীল নেতৃত্বের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, এডিবি এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য সংকট পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে দ্রুত ভ্যাকসিন ব্যয় সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছে।

বাংলাদেশর সক্ষমতা অগ্রগতি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব আর্থসামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশ ১৩ বছরে গড়ে দশমিক শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। কিন্তু কভিড-১৯ মহামারী বর্তমান ভূরাজনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্য, জ্বালানি, সার এবং আর্থিক সংকট বিশ্বব্যাপী সরবরাহ চেইনকে ব্যাহত করেছে এবং সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। সামাজিক অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এডিবি থেকে বাজেট সহায়তার পাশাপাশি নীতিভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) প্রয়োজন।

বিষয়ে অর্থমন্ত্রী এডিবির বিশেষ সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাংলাদেশও এডিবি সদর দপ্তরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ এডিবির সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিকে গুরুত্বারোপ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ এডিবির জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। ২০২৩ সাল আমাদের অংশীদারত্বের ৫০তম বার্ষিকী হবে।

এডিবির প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের সক্ষমতার একটি প্রতীক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন