সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর দূষণ

ছাড়পত্রের আবেদন না করা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে যেসব ট্যানারি কখনো পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার সম্ভাবনা নেই সেসব ট্যানারি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের কথা জানান।

পরিবেশ, বন জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল, মো. রেজাউল করিম মো. শাহীন চাকলাদার বৈঠকে অংশ নেন।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী মাসে এসব ট্যানারির তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।

সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদন হয়, যেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ঘনমিটার। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা নেই। গত বছরের আগস্টে দূষণের দায়ে শিল্প নগরী আপাতত বন্ধ রাখার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি।

বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদীয় কমিটি। শিল্পমন্ত্রী বাণিজ্যমন্ত্রীকেও বৈঠকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার অংশ নেন। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বিসিকের চেয়ারম্যান বৈঠকে হাজির হন।

সাবের চৌধুরী বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ট্যানারি কারখানাগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। একটি ভাগে থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরা বর্জ্য শোধানাগার তৈরি করেছে, আরেকটি ভাগে থাকবে যেসব প্রতিষ্ঠান কখনই পরিবেশ ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেনি এবং জোড়াতালি দিয়ে চলছে, যাদের কমপ্লায়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো থাকবে তৃতীয় ভাগে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন