১৭০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে আরব আমিরাত। শেষ পর্যন্ত ৩২ রানে হেরে গেলেও খেলায় ছিল সুস্পষ্ট লড়াইয়ের ছাপ। এদিকে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ জয়ের পথটা সহজ করে রেখেছিলেন টাইগাররা। গতকাল দুবাইয়ের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয়ের মাধ্যমে ২-০-তে সিরিজটি জিতে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহানরা।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ১৬৯ রান। আগের ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল। এবার আর তেমন বিপদে পড়তে না হলেও প্রত্যাশিত পুঁজি পায়নি। ওপেনিং জুটিতে কেউই থিতু হতে পারছেন না। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছেই। বিশ্বকাপের আগে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগে দলে ঢুকেছেন সাব্বির রহমান। কিন্তু দুর্বল আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না তিনি। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ফিরলেন ৯ বলে ১২ রান করে। দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
মেহেদি হাসান মিরাজ পরে লিটন দাসকে নিয়ে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এ জুটি থেকে ২৭ বলে আসে ৪১ রান। তবে নবম ওভারে ২০ বলে ২৫ রান করে ফেরেন লিটন। আফিফ হোসেন শুরুটা ভালোই করেছিলেন। বিন্তু ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ১০ বলে ১৮ রান করে ফিরতে হয় তাকে। এরপর আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩৭ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৪৬ রান করা মিরাজ। মাত্র ৪ রানের জন্য ফিফটিটা ছুঁতে পারলেন না। ২২ বলে ২৭ করে আউট হয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন। ইয়াসির আলি রাব্বি আর নুরুল হাসান সোহান ৩ ওভারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে যোগ করেন ৩২ রান। ইয়াসির ১৩ বলে ২১ আর সোহান ১০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থেমেছে আরব আমিরাতের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন অধিনায়ক সি রিজওয়ান। ৩৬ বলে খেলা ইনিংসটি তিনি সাজান দুটি বাউন্ডারি এবং দুই ছক্কায়। উইকেট পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি বাংলাদেশের। সফরকারীদের প্রথম উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। অন্যদিকে এ ম্যাচ দিয়ে ফেরা তাসকিন আহমেদও দ্রুতই পেয়েছেন উইকেটের স্বাদ। চড়াও হন মোসাদ্দেক হোসেনও। পরপর ২ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন এ স্পিনার। ম্যাচসেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।