এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল

দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তায় ১৪০০ কোটি ডলার ব্যয় করবে এডিবি

বণিক বার্তা অনলাইন

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান খাদ্য সঙ্কট কমাতে ২০২২-২৫ মেয়াদে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিস্তৃত কর্মসূচি নিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ মঙ্গলবার এক ঘোষণায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতির প্রভাব মোকাবেলা করে খাদ্য ব্যবস্থাকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে শক্তিশালী করা ব্যাংকটির লক্ষ্য।

এ অঞ্চলে সমর্থন প্রসারিত করা প্রসঙ্গে এডিবি জানায়, দারিদ্র্য ও মূল্যের কারণে প্রায় ১১০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবারের অভাবে ভুগছে, যা চলতি বছর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও বণ্টন, সামাজিক সুরক্ষা, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান প্রকল্পসহ এ খাতে বিদ্যমান এবং নতুন প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে। 

এ ছাড়া এ প্রকল্প খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখে এমন অন্য কার্যক্রমেও ভূমিকা রাখবে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি স্থানান্তর, পরিবহন, গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থায় প্রবেশ, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা।

এডিবির ৫৫তম বার্ষিক সভায় মন্তব্য করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এশিয়ার অনেক পরিবার ক্ষুধা ও গভীর দারিদ্রের মধ্যে পড়েছে। এ পরিকল্পনা সময়োপযোগী ও জরুরি প্রতিক্রিয়া।

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো আরো খারাপ হওয়া এবং অর্জিত উন্নয়ন পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই আমাদের কাজ করতে হবে। সম্ভাব্য ও ভবিষ্যত খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রভাব কমাতে দুর্বল ব্যক্তি, বিশেষ করে দুর্বল নারীদের সাহায্যের কথা বলেন তিনি।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে এডিবি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন খাদ্যের প্রধান উপাদান ও সারের সরবরাহ ব্যাহত করেছে। পাশপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, মহামারী-সম্পর্কিত সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত এবং দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাকে চাপে ফেলেছে। 

আসাকাওয়া জানান, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা, কৃষক ও কৃষি ব্যবসাকে সাহায্য এবং মুক্ত বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা।

২০০৭-০৯ সালের বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের সময় এবং পরবর্তী খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক নানা কর্মসূচি থেকে লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগাবে বলেও জানায় এডিবি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন