বর্ণাঢ্য আয়োজনে কক্সবাজারে শুরু সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভাল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভাল। পুরো আয়োজনকে সামনে রেখে পর্যটন নগরী সেজেছে বর্ণিল সাজে। ভ্রমণার্থীদের জন্য মূল্যছাড়সহ বিনোদনমূলক নানা অনুষ্ঠান।

কার্নিভাল উপলক্ষ্যে আজ সকাল ১০টায় সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে সুগন্ধা পয়েন্ট ঘুরে শেষ হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবী প্রতিনিধিরা। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।

বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁয় থাকছে ৩০-৭০ শতাংশ মূল্যছাড়। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও এ সুবিধা নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সচিব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজারকে আরো ব্রান্ডিং করতে হবে। প্রচার আরো বাড়াতে হবে। কার্নিভালকে স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়া এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

‘পর্যটনে নতুন ভাবনা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সাত দিনের পর্যটন মেলার আয়োজনে করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ২০০টি স্টল নিয়ে বসছে মেলা।

থাকছে পর্যটন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন, ঘুড়ি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানগেম, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক উৎসব, ফানুস উৎসব, বালি ভাস্কর্য, বিচ ভলিবল, ক্রিকেট, ম্যাজিক শো, আতশবাজি, ডিজে শো ও কনসার্ট।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক শিল্পী মেরি, পপশিল্পী মেহরিন, আঁখি আলমগীর, ব্যান্ড কুঁড়ে ঘর ও কৌতুক অভিনেতা আরমান পারফর্ম করবেন। বিদেশী পর্যটকদের অংশগ্রহণে থাকছে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। তারা জাজ, হেভি মেটাল ও অপেরা পরিবেশন করবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ১২টা পর্যন্ত এ সব আয়োজন চলবে।

এ দিকে মেলাকে কেন্দ্র করে জমকালো আয়োজনে সেজেছে সৈকত ও হোটেল রেস্তোরাঁ। লাবণী পয়েন্টের হোটেল কল্লোল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে টুরিস্ট পুলিশের গেট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে বসেছে স্টল। এ সব স্টলে পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট সামগ্রী, আচার, শুঁটকি ও পিঠাসহ হরেক রকমের পণ্য থাকছে।

হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে হোটেল-মোটেলে অতিথিরা ভাড়ায় ৩০-৭০ শতাংশ ছাড় পাবেন। এ ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় ২০-৩০ শতাংশ মূল্যছাড় দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন