সিজিএসের আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মাদক কারবারে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিত্তবানরাও জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মাদক কারবারে সাংবাদিক, পুলিশ বিত্তবানরাও জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। যারা ধরনের অপরাধে জড়িত হন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় বলেও জানান তিনি।

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক মামলায় পুলিশ র্যাব সদস্য আছেন। অন্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। পুলিশ বলে তার জন্য আইন আলাদা হবে, বিষয়টি এমন নয়। পুলিশে নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে বরখাস্ত করা হয়। জায়গাটায় আমরা খুব কঠিন অবস্থানে চলে আসছি। চাকরির শুরুতে যারা সিলেক্টেড হবে, তাদের ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি। পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হলে আমরা ডোপ টেস্ট করব।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করা হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে জেলখানার ধারণক্ষমতা ৪১ হাজারের বেশি। কিছুদিনের মধ্যে এটা আরো বাড়বে। সব সময় থাকে ৮০ হাজার থেকে লক্ষাধিক বন্দি, এর মধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী। বিচারের সময় সাক্ষী পাওয়া যায় না, আর মামলার লম্বা জট লেগেছে। সেখানে মাদক মামলা হারিয়ে যায়। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চেয়েছি মাদক মামলার জন্য, যদিও সেটা এখনো পাওয়া যায়নি।

মাদকের চাহিদা হ্রাস করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের কুফল সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। মাদকের সাপ্লাই কমাতে বিজিবি, কোস্টগার্ডের সক্ষমতা জনবল বৃদ্ধি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্ডারে আমরা এখন অনেক কিছু করছি। টেকনাফে দেখেন নাফ নদীর যে বর্ডার তা দুর্গম। সেখানে বিওপি থেকে বিওপি যেতে সময় লাগে। আমরা সেন্সর লাগাচ্ছি সব বর্ডারে। হেলিকপ্টার টহলের ব্যবস্থা করছি, যাতে মাদকের সাপ্লাই বন্ধ করা সম্ভব হয়। বাংলাদেশে ৬০-৭০ লাখ মাদকাসক্ত। এজন্য ভালো হাসপাতাল নেই। আমাদের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোয় অভিজ্ঞ ডাক্তার নেই, সাইক্রিয়াটিস্ট নেই। তেজগাঁও সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে উচ্চ মধ্যবিত্তের কেউ যায় না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন