সূচক ও লেনদেনে নিম্নমুখিতা

অপরিবর্তিত প্রায় অর্ধেক শেয়ারের দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল পুঁজিবাজারে সূচক লেনদেনে নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এদিন দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। এর মধ্যে ডিএসইতে মোট লেনদেন হওয়া শেয়ারের প্রায় অর্ধেকেরই শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, হাতে গোনা কিছু শেয়ারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে পুঁজিবাজার। কোম্পানিগুলোই সূচকের ওঠানামায় ভূমিকা রাখছে। এর বাইরে অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারদর ফ্লোর প্রাইসের কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। কারণে নতুন শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নির্লিপ্ততা পরিলক্ষিত হয়েছে। অনেকেই বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সামনে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক ফলাফল কী আসে, সে অপেক্ষায়ও রয়েছেন অনেকে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের একাংশ বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন। কারণে গতকাল সূচকে পতন হয়েছে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার কারণে লেনদেনও কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর এক মিনিট পর থেকেই পয়েন্ট হারাতে শুরু করে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও সকাল ৯টা ৫১ মিনিট থেকেই আবার নিম্নমুখী হতে শুরু করে সূচক। দিনভর অস্থিরতা শেষে গতকাল আগের দিনের তুলনায় পয়েন্ট কমে হাজার ৫১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৫১৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে কিছুটা কমে হাজার ৪২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল সি পার্ল বিচ রিসোর্টস অ্যান্ড স্পা, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ বিবিএস কেবলসের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল হাজার ৩০০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ৮১০ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৩৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২০ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বিবিধ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। ১১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত। আর বস্ত্র খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল পুঁজিবাজারে বিবিধ খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল পাট খাতে দশমিক শতাংশ।

সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ১৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১৯ হাজার ১৮৩ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৪১টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ১০৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৯২টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ১১৫ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১২৬ কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন