ইউরোপে জ্বালানি সংকটের প্রভাব

অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন ৩% কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন আবারো কমেছে। ধাতুটির উৎপাদন অব্যাহত কমতে থাকায় বাজার সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে দাম। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে শিল্প উৎপাদন খাত। উদ্বেগ বাড়ছে অর্থনৈতিক মন্দার। গত মাসে উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে ইউরোপ। জ্বালানি সংকটের কারণে অঞ্চলের ইস্পাত খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে।

অপরিশোধিত ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন নিয়ে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, গত মাসে ধাতুটির বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি লাখ টনে।

অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-আগস্ট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ১২৫ কোটি ৩৯ লাখ টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদক দেশ চীনে গত মাসগুলোয় উৎপাদন অব্যাহত কমেছে। তবে আগস্টে উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়ে কোটি ৩৯ লাখ টনে উন্নীত হয়। অন্যান্য মাসে উৎপাদন কমার পেছনে চীন প্রধান ভূমিকা রাখলেও এবার রেখেছে ইউরোপের দেশগুলো।

ওয়ার্ল্ড স্টিলের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোয় উৎপাদন ১৩ দশমিক শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ লাখ টনে। বছরের প্রথম আট মাসে উৎপাদন হয়েছে কোটি ৫৩ লাখ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ।

এছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশে গত মাসে ধাতুটির উৎপাদন ১৮ দশমিক শতাংশ কমে যায়। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখ টন। এছাড়া বছরের প্রথম আট মাসে এসব দেশে উৎপাদন হয়েছে কোটি ১০ লাখ টন। সে হিসেবে উৎপাদন কমেছে দশমিক শতাংশ।

আকাশচুম্বী জ্বালানি ব্যয়ের কারণে ইউরোপের ইস্পাত উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এমনকি বন্ধ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

বাড়তে থাকা জ্বালানি ব্যয়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে স্টেইনলেস ইস্পাত উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অ্যাপেরাম তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিম বেলজিয়ামের সাইটে তাদের চারটি ওয়াইন্ড টারবাইন এবং ৫০ হাজারের বেশি সোলার প্যানেলও বন্ধ করে দিয়েছে।

কোম্পানিটিতে এক বছরে যে পরিমাণ জ্বালানি ব্যয় বহন করতে হতো, তা এখন এক মাসেই বহন করতে হচ্ছে। সাধারণত যেসব অবকাঠামোয় স্টেইনলেস ইস্পাত বিগলন করা হতো সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে।

এদিকে গ্রীষ্মকালীন রক্ষণাবেক্ষণজনিত কারণে সক্ষমতার ৮০ শতাংশ উৎপাদনই ব্যাহত হয়। যদিও কারো কারো মতে, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার পর থেকে হার ৫০ শতাংশে নেমেছে।

গত মাসে এশিয়ার দেশগুলোয় উৎপাদন মাত্র দশমিক শতাংশ কমেছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ২৬ লাখ টনে। মূলত চীন ভারতের ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। গত মাসে ভারতের উৎপাদন দশমিক শতাংশ বেড়েছে। দেশটি সময় কোটি লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন