মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দামে নিম্নমুখিতা অব্যাহত

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে। মূলত বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলগুলোর বাজারদর নিম্নমুখী হয়ে ওঠার প্রভাবে বাজার আদর্শটি নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম ৩০ শতাংশেরও বেশি কমতে পারে। ব্যাপক সরবরাহ সংকট দুর্বল চাহিদা বাজারকে নিম্নমুখী রাখতে সহায়তা করবে।

তথ্য বলছে, গতকাল বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক ৮৫ শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য স্থির হয়েছে হাজার ৪৮০ রিঙ্গিত বা ৭৫৭ ডলার ১৮ সেন্টে। নিয়ে টানা তৃতীয় কার্যদিবসে পণ্যটির দাম কমল। গত মাসে মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের দাম দশমিক শতাংশ কমেছে। নিয়ে টানা চার মাস নিম্নমুখী মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের বাজার।

এদিকে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০ লাখ টন স্পর্শ করেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের মজুদ। পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন মজুদ বাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। রয়টার্সের এক সমীক্ষায় তথ্য উঠে এসেছে।

সমীক্ষার তথ্য বলছে, আগস্টে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মজুদ ১৪ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। এটি ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

পাম অয়েল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ মালয়েশিয়া। গত মাসে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ টনে। এর মধ্য দিয়ে উৎপাদন ১০ মাসের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক পাম অয়েল অ্যানালিটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সাথিয়া ভারকা বলেন, মৌসুমে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় আগস্টে। সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মাটির আর্দ্রতা উর্বরতা বাড়ে, যা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে চলতি মাসে উৎপাদন বৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়তে পারে।

এদিকে গত মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি কমেছে। সময় দেশটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১৪ শতাংশ কম। বিশ্লেষকরা জানান, সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিজনিত প্রতিযোগিতা বেড়েছে। কারণে রফতানিতে পিছিয়ে পড়েছে মালয়েশিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন