
কম্বোডিয়া থেকে জয় নিয়ে ফেরা বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল মঙ্গলবার
কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে। দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময়
সন্ধ্যা পৌঁছে ছয়টায় ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচে জামাল ভূঁইয়ার দলকে অনুপ্রেরণা
জোগাচ্ছেন সদ্য নারী সাফজয়ী সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানীরা।
কম্বোডিয়ায় ম্যাচ খেলে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নেপাল পৌঁছে বাংলাদেশ ফুটবল
দল। মাঝের এই কদিন কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন জামাল-মতিন মিয়ারা। আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে
সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিম ও সুইমিং সেশন সম্পন্ন করে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তাছাড়া, দলটি বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা
ছয়টা পর্যন্ত আর্মি স্পোর্টস গ্রাউন্ডে অনুশীলন করে।
নমপেনে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। এবার নেপালকে
হারিয়ে জয়ের ধারায় থাকতে চায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। অবশ্য নেপালের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই দেখায় সুখস্মৃতি
নেই বাংলাদেশের। ২০২১ সালে ত্রিদেশীয় আসরে নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
একই বছর মালদ্বীপের মালেতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে
ড্র করে আসর থেকে ছিটকে পড়েন জামালরা।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের নারীরা স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের
মতো সাফ শিরোপা জিতে নেয়,
যা থেকে
অনুপ্রেরণা খুঁজছেন জামাল ও তার দল।
আজ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলনায়ক বলেন, আমরা প্রায় একমাস একসঙ্গে রয়েছি।
কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জিতেছি। নেপাল ম্যাচ নিয়ে ছেলেদের মধ্যে ভরপুর আত্মবিশ্বাস
আছে। আমরা কালকের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। আমরা এটাও জানি, এটা নেপালের নিজেদের মাঠ, এ কারণে স্বাগতিকদের প্রতি আমাদের
শ্রদ্ধা আছে। তবে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলতে চাই। ত্রিদেশীয় সিরিজের
হার এবং সবশেষ সাফের ড্র-এই দুই ম্যাচ নিয়ে ভাবছি না।
আগামীকালের ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন,
নেপালের খুবই
ভালো হোম দর্শক আছে। অবশ্যই তারা নেপালের খেলোয়াড়দের সাহায্যে আসবে, কিন্তু কয়েকদিন আগে এ মাঠে আমাদের
মেয়েরা ইতিহাস গড়েছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে। আমরাও তার পুনরাবৃত্তি করতে চাই।
আমরাও জিততে চাই।
বাংলাদেশ কোচ হিসেবে কম্বোডিয়া ম্যাচেই প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন
হাভিয়ের কাবরেরা। জয়ের ধারায় থাকার ব্যাপারে আশাবাদী এই স্প্যানিশ কোচ বলেন, ২২ দিনের লম্বা ট্রেনিং এবং কম্বোডিয়া
ম্যাচ শেষ করে আমরা এখানে এসেছি। অবশ্যই কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়টি আমাদের জন্য
বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে। ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী, আগামীকালের ম্যাচ জেতার জন্য ছেলেরা
যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে। নেপাল আমাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলবে
এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত।