
‘সুপার টাইফুন’ হিসেবে চিহ্নিত ঘূর্ণিঝড় নোরুর আঘাতে ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজনে চার উদ্ধারকর্মী নিহত ও নিখোঁজ রয়েছেন একজন। গতকাল রোববার ঘূর্ণিঝড় দেশটির উপকূলে আছড়ে পড়ে। খবর বিবিসি।
লুজনে ফিলিপাইনের অর্ধেক জনসংখ্যা, প্রায় ১১ কোটির মতো মানুষ বসবাস করেন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন এ অঞ্চলে ‘বিস্ফোরক তীব্রতা’ নিয়ে আঘাত আনা ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার।
চলতি বছরে আঘাত হানা সবচাইতে শক্তিশালী ঝড়টি নিয়ে বুলাকান এলাকার গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো বলেন, উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় ঝড়ের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ওই পাঁচ জন উদ্ধারকর্মীকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়ভাবে কার্ডিং নামে পরিচিত ঘূর্ণিঝড় নোরু গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে দ্বিতীয়বার ভূমিতে আছড়ে পড়ার পর দুর্বল হয়ে যায়। আজ সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়টি ফিলিপাইন ছেড়ে যাবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ঝড়টি যে পথ দিয়ে যাওয়ার কথা সেসব জায়গার ৭৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রাজধানী ম্যানিলায় ভয়াবহ বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেন, আমার মনে হয় অন্তত এ যাত্রায় আমাদের ভাগ্য ভালোই। এটা স্পষ্ট যে গত দুদিন ধরে আমরা যা করেছি তা প্রস্তুতি হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটা এখনো শেষ হয়নি। আমরা তখনই বিশ্রাম নেব যখন সরিয়ে নেয়া বেশিরভাগ মানুষ তাদের বাড়ি ফিরে যেতে পারব।
প্রশান্ত মহাসাগরে সাত হাজারের বেশি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ফিলিপাইন, তাই এখানে ঝড়ের প্রকোপ বেশি। বছরে প্রায় ২০টির মতো ঝড় হয়। গত ডিসেম্বরে ঘূর্ণিঝড় রাই আঘাতে দেশটিতে প্রায় ৪০০ মানুষ মারা যায়। এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হেইয়ানের আঘাতে ২০১৩ সালে মারা যায় ছয় হাজার ৩০০ মানুষ।