হৃদযন্ত্রে জন্মগত ছিদ্রের লক্ষণ বোঝার উপায়

ফিচার ডেস্ক

শিশুর হৃদযন্ত্রে জন্মগতভাবে ছিদ্র থাকলে তার লক্ষণ বেড়ে ওঠার যেকোনো পর্যায়ে প্রকাশ হতে পারে। অনেক সময় জন্মের পর পরই লক্ষণ দেখা দেয়। আবার লক্ষণ প্রকাশ পেতে কখনো কখনো কয়েক মাস বা কয়েক বছরও লাগতে পারে। সাধারণত দেখা যায়, অন্য কোনো রোগ নির্ণয়ে বা স্বাভাবিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ধরা পড়ে।

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. রোকনুজ্জামান সেলিম বলেন, মূলত হৃদযন্ত্রে ছিদ্রের প্রকারভেদ অনুযায়ী রোগীর দেহে আলাদা সময়ে এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়। এগুলো শিশু, কিশোর প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেতে পারে।

তিনি বলেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট দেখে অথবা শিশু মায়ের দুধ পানের সময় বা স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে চলার সময় অভিভাবকের চোখে এটি ধরা পড়ে। যে শিশুদের ছোটবেলায় ধরা পড়ে না তারা কিশোর বয়সে পৌঁছলে বা আরো বড় হলে ধীরে ধীরে নানা লক্ষণ দেখা যায়। যেমন এসব শিশু ঘন ঘন ঠাণ্ডা, কাশি, জ্বর ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসক জানান, অভিভাবকরা বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে থাকেন। যেমন কারো অভিযোগ থাকে যে তাদের শিশু অন্য শিশুদের তুলনায় বাড়ছে না। কেউ কেউ বেশি দৌড়ঝাঁপ করলে শরীর নীলচে বর্ণ ধারণ করে, কোনো কোনো শিশু ঠিকমতো দুধ টেনে পান করার শক্তি পায় না। অনেক মা বলেন, দুধ পান করানোর সময় শিশুর মাথা ভীষণ ঘেমে যায়, কারো কারো শ্বাসকষ্ট হয়। যখন মা-বাবারা এসব লক্ষণের কথা জানান তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধরা পড়ে যে এসব শিশু জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত।

চিকিৎসক রোকনুজ্জামান সেলিম আরো বলেন, অনেক সময় পূর্ণবয়স্ক মানুষের কোনো রোগের চিকিৎসায় গিয়ে ধরা পড়ে যে তার আসলে জন্মগতভাবে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র ছিল। যেমন দেখা যায় একজন নারী গর্ভধারণের পর শ্বাসকষ্ট হয় বা কোনো কাজ করতে সমস্যা হয়। তখন চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখা যায়, তার হৃদযন্ত্রে ছিদ্র রয়েছে। আক্রান্ত পুরুষদের ক্ষেত্রেও ভারী কাজ করতে বা সিঁড়ি নিয়ে ওঠানামায় হাঁপিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন