যে কারণে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র হয়

ফিচার ডেস্ক

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ বলতে হৃদপিন্ড সংশ্লিষ্ট রক্তনালিগুলোর গঠন, কার্যপ্রণালি প্রভৃতির অস্বাভাবিকতাকে বোঝায়। রোগের অন্যতম হলো হৃদযন্ত্রে ছিদ্র। একজন মানুষের হৃদযন্ত্রে কেন ছিদ্র থাকে, তার সঠিক কারণ এখনো উন্মোচন করতে পারেনি আধুনিক বিজ্ঞান। বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে সমস্যা বৃদ্ধির হার বেশ উদ্বেগজনক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে হৃদরোগ নিয়ে জন্মানো শিশুর শতকরা ১৫ শতাংশ ভারতের। এরপর শ্রীলংকায় ১০ শতাংশ, বাংলাদেশ মিয়ানমারে শতাংশ করে এবং বাকি ৬৩ শতাংশ শিশুর জন্ম হয় বিশ্বের অন্যান্য দেশে।

শিশুদের হৃদযন্ত্রে জন্মগতভাবে যে ছিদ্র হয় তার পেছনে কোনো সুস্পষ্ট কারণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হরমোনের সমস্যা মাদকাসক্তি কিছুটা প্রভাব ফেলে। বংশগত অথবা পরিবেশগত কারণেও জন্মগত হৃদরোগ হয়ে থাকে। তবে জন্মগত হৃদরোগ প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কিছু জন্মগত হৃদরোগ শিশুর জন্মের পর পরই প্রকাশ পায়, আবার কিছু সারা জীবন অপ্রকাশিত বা অজানা থেকে যায়। এক্স-রে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম প্রভৃতি পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে অতি সহজেই জন্মগত হৃদরোগ শনাক্ত করা যায়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা স্টেথোস্কোপ শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করার মাধ্যমেও কিছু জন্মগত হৃদরোগ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত একটি শিশু যখন হৃদযন্ত্রে ছিদ্র নিয়ে পৃথিবীতে আসে, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে অনেকের লক্ষণ প্রকাশ পেতে অনেক সময় লেগে যায়।

রোগটি নিয়ে বেশকিছু কুসংস্কারও প্রচলিত আছে। যেমন অনেক দম্পতি ভাবেন তাদের কোনো পাপ বা দোষের কারণে শিশু হৃদযন্ত্রের ছিদ্র নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। এসব ক্ষেত্রে সেই দম্পতিকে কাউন্সিলিং করানো যেতে পারে। তাদের বোঝাতে হয় যে কোনো দোষের কারণে শিশু সমস্যায় আক্রান্ত হয়নি। বরং কী কারণে রোগটি হয় তার কোনো কারণ বিজ্ঞানই এখনো বের করতে পারেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন