জটিল এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়

ফিচার ডেস্ক

সময়মতো শিশুর জন্মগত সমস্যার চিকিৎসা জরুরি। তা না হলে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জটিলতা বাড়ে। অনেক সময় অভিভাবকরা অর্থের সংস্থানের অভাবে চিকিৎসায় দেরি করেন। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে। রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে মূলত ছিদ্রের আকার অবস্থানের ওপর। ছোট আকারের এএসডি নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ করে ফুসফুসের বাড়তি রক্তের চাপ কমিয়ে রাখা হয়। বড় বা মাঝারি আকারের ছিদ্র হলে ডিভাইসের মাধ্যমে বন্ধ করা হয়। আবার রক্তনালির ভালভের খুব কাছে থাকলে ডিভাইস দিয়ে বন্ধ করা যায় না। তখন অপারেশনের দরকার হয়।

বাংলাদেশ থেকে অনেক সামর্থ্যবান বাবা মা তাদের সন্তানের জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসা করাতে দেশের বাইরে নিয়ে যান। তবে বাংলাদেশেও রোগের চিকিৎসা করা হয়। বর্তমানে দেশে রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই উন্নত। সরকারিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-ঢাকা এবং রাজধানীর বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশে কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে বেলুন ডাইলেশন করাতে হাসপাতাল ভেদে ৪০ হাজার থেকে লাখ টাকা খরচ হয়ে থাকে। ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে ডিভাইস স্থাপনে খরচ হয় দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা। জন্মগত হৃদরোগের অস্ত্রোপচারের খরচ আনুমানিক দেড় লাখ থেকে লাখ টাকা, যা রোগীর অবস্থা হাসপাতালের ধরনের ওপর নির্ভরশীল।

ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করালে তিন-চারদিনের বেশি হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না। তবে অস্ত্রোপচার হলে হাসপাতাল ছাড়তে ১৫-২৫ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন