সঠিক সময়ে চিকিৎসা জরুরি

ফিচার ডেস্ক

জন্মগত হৃদরোগ বা হৃদযন্ত্রে ছিদ্রের ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। তা না হলে সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, তৈরি হতে পারে মৃত্যুঝুঁকি। শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদযন্ত্রের সব ছিদ্র এক ধরনের নয়। ছিদ্র বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে শিশু ঘন ঘন জ্বর, ঠাণ্ডা বা কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। এতে তার ফুসফুসে সংক্রমণ সৃষ্টি হতে পারে। এক পর্যায়ে ফুসফসের চাপ বেড়ে গেলে রোগ অনেক জটিল পর্যায়ে চলে যেতে পারে। এটা অবশ্য রাতারাতি হয় না। এজন্য ছয় মাস বা এক বছর পরপর হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করাতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় দেখা যায় ছিদ্রের কারণে হার্টের ভালভ নষ্ট হয়ে যায়। ছিদ্রটি ভালভের কাছে থাকলে ভালভেও নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। তখন ভালভ ছিদ্র দুটোরই চিকিৎসা করতে হয়। কারণে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে অল্প খরচে এবং অল্প চিকিৎসায় রোগটি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব।

রোগটি জটিল আকার ধারণ করার পর চিকিৎসা করালে আনুষঙ্গিক আরো অনেক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। যেমন হৃদযন্ত্র বড় হয়ে যেতে পারে, বুক ধড়ফড় করে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আবার ফুসফুসের চাপ বেড়ে যেতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না করালে পরবর্তী সময়ে এসব সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে। কারণেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন।

ছিদ্রের ধরন অনুযায়ী এর চিকিৎসার সময়টাও ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারণ ভিএসডির চিকিৎসাটা একটু আগে করতে হয়। আবার এসএসডির ক্ষেত্রে চার-পাঁচ বছর বয়সেই চিকিৎসার আদর্শ সময় ধরা হয়। তবে রোগী এবং রোগ দুটোর অবস্থা দেখে ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসার আদর্শ সময় ঠিক করে দেন চিকিৎসকরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন