২০১০-২০২১

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত ১ কোটি ৪১ লাখের বেশি বাংলাদেশী

সাইফ বাপ্পী ও আল ফাতাহ মামুন

২০২০ সালের ২০ মে। বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে তীব্র শক্তিতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। ওই ঘূর্ণিঝড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল বাংলাদেশ ভারতের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা এর প্রাদুর্ভাবজনিত টানা ঝড়বৃষ্টিতে বাংলাদেশে পৌনে দুই লাখ হেক্টরেরও বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাণহানি জীবন-জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও উপকূলীয় কয়েকটি জেলার প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্যত্র পাড়ি জমাতে বাধ্য হয় তাদের অনেকেই।

এর আগের বছরের মে মাসেও আঘাত হেনেছিল ভয়াবহ আরেক ঘূর্ণিঝড় ফণী। সে সময় দুই দেশের প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। গত এক দশকে এমন অনেক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধু উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস নয়; খরা, বন্যা, নদীভাঙন অতিবৃষ্টির আঘাতেও প্রতি বছর প্রচুর মানুষ নিজের আবাসস্থল হারিয়ে দেশের অন্যত্র পাড়ি জমাতে বাধ্য হচ্ছে। আবার গত বছরের মে মাসে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবেও দেখা গিয়েছে চিত্রের পুনরাবৃত্তি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে কোটি ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতে গোটা বিশ্বেই এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় এখন ধরনের দুর্যোগের মাত্রা ভয়াবহতা আগের চেয়ে অনেক বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এশিয়া-প্যাসিফিকে দুর্যোগজনিত মোট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ঘটছে শুধু দক্ষিণ এশিয়ায়। এদিক থেকে সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।

অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বলতে একটি দেশ বা অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের যেকোনো কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে ওই দেশ বা অঞ্চলের অন্যত্র চলে যাওয়াকে বোঝায়। গোটা বিশ্বেই এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বনেতারাও এখন জলবায়ু পরিবর্তন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি নিয়ে উত্কণ্ঠিত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের সম্মেলনেও এখন আলোচিত ইস্যুগুলোর অন্যতম হলো বৈশ্বিক উষ্ণায়ন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকাগুলোর একটি হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট দুর্যোগগুলোর পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিও এখন বাংলাদেশকে অনেক নাজুক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, বারবার জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে অতিবৃষ্টি, তীব্র বায়ুপ্রবাহ ঝড়ের কারণে অভিঘাত এলাকার প্রচুর ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাসস্থান টিকে থাকার সরঞ্জাম হারিয়ে অসহায় পড়ছে অনেকেই। সরকারের নেতৃত্বে আগে থেকে নেয়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এখন প্রাণহানি কমালেও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জীবিকার সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বরং অনেক ক্ষেত্রেই দুর্যোগের পর উপদ্রুত এলাকা বসবাস আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে এর আর্থিক ক্ষতি নিরূপণ করা হলেও স্থানীয়দের জীবনযাত্রায় এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নির্ধারণ করা বেশ দুরূহ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জানমালে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে তথ্যগত দুর্বলতা থেকেই যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস তাত্ক্ষণিকভাবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ঘটাচ্ছে। আবার নদী শাসন, বন উজাড় ভূমিক্ষয়ের মতো বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকায় প্রভাব ফেলছে ধীরে ধীরে দীর্ঘদিন ধরে। এগুলোর ধারাবাহিকতায় বন্যার মতো দেখা দেয়া আকস্মিক দুর্যোগগুলোও প্রচুর মানুষকে এলাকাছাড়া হতে বাধ্য করছে। ২০১০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শুধু ভূমিক্ষয়ের প্রভাবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৮৯ হাজার মানুষ। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ফিলিপাইনের বাসিন্দা।

দেশে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির একটি বড় কারণ ধরা হয় নদীভাঙনকে। বাঁধ নির্মাণসহ নানা উপায়ে অপরিণামদর্শী নদী শাসন, সংলগ্ন খাল ভরাট পানিপ্রবাহের গতিপথ সংকুচিত হয়ে আসার কারণে প্রতি বছরই দেশের নদ-নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা যাচ্ছে। নদীতে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি গোচারণভূমি। জীবন-জীবিকা হারিয়ে শহরাঞ্চলে এসে ভিড় করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতির ক্ষেত্রে পানিসম্পদ অব্যবস্থাপনাকে বড় একটি অনুঘটক হিসেবে দেখছেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মো. এজাজ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত বাস্তুচ্যুতির বড় কারণই পানি। বাংলাদেশের নিজস্ব পানিসম্পদের অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ভারতের পানি বণ্টন নীতির কারণেও দেশের মানুষ খরা বন্যার মতো দুর্যোগে পড়ছে।

তিনি বলেন, দেশের ১৪৫টি উপজেলা ১৩টি জেলায় ভয়াবহ নদীভাঙন ঘটছে। রাজশাহীতে গ্রাউন্ড ওয়াটার কমে গিয়েছে। খুলনায় মিঠাপানির সংকট। রংপুরে তিস্তার ভাঙনসহ দেশের যেখানেই বাস্তুচ্যুতি হচ্ছে, সেখানেই পানি বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কিন্তু দুর্যোগ নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা এখনো পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সচেতন হননি। বেসরকারিভাবে তো বটেই সরকারিভাবেও বহু খাল, নদী, বিল, পুকুর ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করার ফলে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটছে।

ঘরবাড়ি হারানোতেই থেমে থাকছে না দুর্যোগে বাস্তুচ্যুতদের দুর্ভোগ। পরেও নানা ধরনের বৈষম্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা। বিশেষ করে দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত নারীরা পারিবারিক সহিংসতার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন বলে এডিবির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। একই সঙ্গে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও নানা ধরনের ঝুঁকিতে পড়ছে। একই সঙ্গে শিশু শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরাও নানা ধরনের হয়রানি সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১৯৯১ সালে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় গোর্কির অভিঘাত এলাকা ছিল একই। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণে আম্পানে মৃতের সংখ্যা দুই অংকের ঘরেই সীমাবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছে সরকার, যেখানে তিন দশক আগে ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল লাখ ৩৯ হাজার মানুষের। বাস্তুচ্যুত হয়েছিল উপকূলের প্রায় এক কোটি মানুষ।

গত দুই দশকে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো গ্রীষ্ম মৌসুমে মারাত্মক তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে। দুই দশকের মধ্যে ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙেছে ১৯ বার। আবার সময় আবহাওয়া-সংশ্লিষ্ট দুর্বিপাকের ঘটনাগুলোও দেখা গিয়েছে বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সামনের দিনগুলোয়ও বিশ্বব্যাপী অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বাড়বে। বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকির মুখে সবচেয়ে নাজুক অবস্থানে থাকা দেশগুলোই এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়ও মনোযোগ বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক . মনিরুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, প্রাকৃতিক কারণে ঘটিত বাস্তুচ্যুতির ঘটনাগুলোকে আমরা বাধ্যতামূলক বাস্তুচ্যুতি বলি। যেখানে পরিবেশ খারাপ হয়ে গিয়েছে বা এলাকা দুর্যোগপ্রবণ হয়ে গিয়েছে, সেখান থেকে মানুষ অন্যত্র সরে যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষ শহরমুখী হয়। যদি আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার আওতায় আমরা খাপ খাইয়ে নেয়ার সক্ষমতা বাড়াতে পারি, মানুষকে দুর্যোগ মোকাবেলার কৌশল শেখাতে পারি, তাহলে মানুষ কম শহরমুখী হবে। এক্ষেত্রে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত যে নীতি ক্যাপাসিটি রয়েছে তা চমত্কার। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছতে পারেনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক গবেষক আরো বলেন, আমাদের সমস্যা হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম চলে গিয়েছে আমলাদের হাতে। কিন্তু আমলারা তো বিষয়ে এক্সপার্ট নন। এটি একটি বিজ্ঞান। এটা জানতে হবে। আর তা একদিন বা দুদিনে জানার বিষয়ও নয়। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে যেসব ছেলেমেয়ে পাস করে বেরোচ্ছে, তাদেরও সরাসরি দুর্যোগ মোকাবেলার কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি বড় কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে অপরিকল্পিত নগরায়ণকে। বর্তমান বিশ্বে নগরায়ণ সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ঘটছে দক্ষিণ এশিয়ায়। অপরিকল্পিত হওয়ায় এসব নগরে এখন বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতার মতো নাগরিক সমস্যাও বড় ধরনের সংকটের কারণ হয়ে উঠেছে। প্রায় এক কোটি বাসিন্দার নগরী ঢাকার চারপাশে ছোট-বড় ছয়টি নদ-নদী রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরী স্ফীত হয়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। নগরীর চারপাশের নদ-নদীগুলোর তীর দুর্বল ব্যবস্থাপনা নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে প্রতি বছরই বন্যা মারাত্মক জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে পড়ে ঢাকা। নগরীর অপরিকল্পিত সম্প্রসারণ থামানো না গেলে সংকট সামনের দিনগুলোয় আরো বড় হয়ে দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে এডিবির পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি পরিবেশ-বিষয়ক আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বণিক বার্তাকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই বাড়ছে। আগে যেসব দেশে বছরে একবার ভূমিকম্প বা টর্নেডো হতো, এখন যেসব দেশে বছরে আট-দশবার করে হচ্ছে। বাংলাদেশে দেখা যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত হলে মানুষ গণহারে ঢাকায় চলে আসে। এতে ঢাকার জনজীবনে মারাত্মক চাপ পড়েছে। সরকারকে অবশ্যই বাস্তুচ্যুতির সমস্যাটি নিয়ে ভাবতে হবে। ক্রমবর্ধমান আকারে মানুষ ঢাকায় প্রবেশের কারণে শহরটি একসময় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এখনই ঢাকার পানি, বাতাস মাটি মারাত্মক দূষিত। ধারা চলতে থাকলে দূষণের মাত্রা আরো বাড়বে। একটি শহরের যে স্বাভাবিক সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা আছে, সেটি যদি পার হয়ে যায় তাহলে ওই শহরের অস্তিত্বও ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। সুতরাং ঢাকাকে বাঁচাতে হলে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য বিকল্প বাসস্থানের কথা ভাবতে হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমানোর ব্যাপারেও সরকারকে কাজ করতে হবে।

এডিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্যের সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী . মো. এনামুর রহমান এমপি বণিক বার্তাকে বলেন, আমাদের দেশে গড়ে প্রতি বছর ৫০ হাজার মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত হয়। সে হিসাবে ১০ বছরে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০ লাখ। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে যে পরিসংখ্যান দিয়েছে সেটিও সঠিক নয়। আম্পানের কারণে বাংলাদেশে একজনও বাস্তুচ্যুত হয়নি।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের সক্ষমতাও বেড়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের তেমন যন্ত্রপাতি ছিল না। এখন নতুন নতুন যন্ত্রপাতি এসেছে। গত বছরই প্রধানমন্ত্রী আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। ফলে দিন দিন আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। এতে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা অনেক কমে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন