ভোমরা স্থলবন্দরে জিরা আমদানি কমেছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে জিরা আমদানি কমেছে। এদিকে আমদানি কমে যাওয়া পর্যাপ্ত চাহিদার কারণে মসলাপণ্যটির দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে জিরার দাম বেশি। তার ওপর ডলারের দামও রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করছে। এসব কারণে পণ্যটি আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। কারণেই আমদানিতে আগ্রহ কম।

সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) স্থলবন্দরে দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছে ৫২৪ টন, যার মূল্য কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আমদানীকৃত জিরা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে কোটি লাখ টাকা। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হয়েছিল ৮৭৫ টন। আমদানীকৃত এসব জিরার  মূল্য ১৪ কোটি লাখ টাকা। যেখানে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে পণ্যটির আমদানি অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে আমদানি কমে যাওয়ার কারণে সাতক্ষীরার বাজারে জিরার দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানের কেজিতে ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভোমরা স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, সম্প্রতি ভারতে জিরার দাম বাড়ায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছি।

সাতক্ষীরা জেলা শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের মসলা ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আবুল কাসেম বলেন, আমদানি কমে যাওয়ায় জিরার দাম বেড়েছে। দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগেও ভারতীয় জিরা প্রতি কেজি ৩৬০-৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন তা বেড়ে ৪০০-৪২০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ইরানি জিরার দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫০-৬০ পর্যন্ত। আবুল কাসেম জানান, ১৫ দিন আগেও তার প্রতিষ্ঠানে আমদানীকৃত ইরানি জিরা বিক্রি হয়েছে ৪৫০-৪৬০ টাকা কেজি দরে, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫১০ টাকায়।

আবু জাফর নামের এক ক্রেতা বলেন, জিরাসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মসলার দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো বেকায়দায় পড়েছে। দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, উকরযুক্ত যেসব পণ্য আমদানি হয় তার মধ্যে জিরা উল্লেখযোগ্য। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় পণ্য আমদানি কিছুটা কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন