বিশ্ববাজারে ৫৬ লাখ টন চিনি উদ্বৃত্তের সম্ভাবনা

বণিক বার্তা ডেস্ক

আসন্ন বিপণন মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস মিলেছে। বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক ব্রাজিলে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনা এক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল সুগার অরগানাইজেশন (আইএসও) কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরে চিনির বৈশ্বিক বিপণন মৌসুুম ২০২২-২৩ শুরু হবে। মৌসুমে শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। মৌসুমে বাজারে উদ্বৃত্ত থাকবে ৫৬ লাখ টন চিনি।

বিশ্লেষকরা জানান, গত বছর ব্রাজিলে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ খরা তুষারপাতের কারণে চিনি উৎপাদনে বিপর্যয় নেমে আসে। ফলে পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এতে চলতি মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ টনে। তবে বছর পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নিয়েছে। ব্রাজিলের প্রধান প্রধান অঞ্চলে উৎপাদন বাড়ছে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও উৎপাদন ঊর্ধ্বমুখী।

এর আগে জুলাইয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স চিনির বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি পূর্বাভাস দিয়েছিল। ওই পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে চিনির বৈশ্বিক উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ লাখ টনে।

এদিকে আইএসওর প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন মৌসুমে বিশ্বজুড়ে চিনি উৎপাদন বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় আরোহণ করবে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টনে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি।

বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবে ব্রাজিল। আসন্ন মৌসুমে দেশটি কোটি ৮৫ লাখ টন চিনি উৎপাদন করবে। চলতি মৌসুমে প্রাক্কলিত উৎপাদান ধরা হয়েছে কোটি ৩১ লাখ টন।

এদিকে থাইল্যান্ডে চিনি উৎপাদন বেড়ে কোটি ২০ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন ধরা হয়েছে কোটি লাখ টন। দেশটির কৃষি খাত দুই বছরের তীব্র খরা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কারণেই উৎপাদনে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটির উৎপাদন ৭১ লাখ টনে নেমে গিয়েছিল।

এদিকে আসন্ন মৌসুুম চিনির বৈশ্বিক ব্যবহার প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৌসুম থেকে ব্যবহার মাত্র দশমিক শতাংশ বাড়তে পারে। ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ টনে।

ব্রাজিল থাইল্যান্ডের পাশাপাশি ভারতও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদক রফতানিকারক। গত বছর বিশ্ববাজারে পণ্যটির ব্যাপক সংকট দেখা দিলে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ভারত। দেশটির ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন রফতানির কারণে বাজারে ভারসাম্য তৈরি হয়। তবে বছর দেশটি চিনি রফতানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। রফতানিতে নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা।

আগামী মৌসুমে নির্ধারিত কোটার অধীনে দুই ধাপে চিনি রফতানি করবে ভারত। অক্টোবরে চিনির ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুম শুরু হবে। মৌসুমের জন্য নতুন রফতানি নীতি চলতি মাসেই ঘোষণা করা হবে। আগামী মৌসুমে নয়াদিল্লি ৭০-৮০ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দেবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৪০-৫০ লাখ টন এবং পরের ধাপে বাকি চিনি রফতানি করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন