জ্বালানি সংকটে হুমকিতে ইউরোপের ইস্পাত খাত

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইউরোপে ইস্পাত খাতে কর্মসংস্থান রয়েছে তিন লাখেরও বেশি মানুষের। এছাড়া অঞ্চলটির অর্থনীতিতে কয়েক বিলিয়ন ইউরো আয় আসে খাত থেকে। কিন্তু আকাশচুম্বী জ্বালানি ব্যয়ের কারণে ইউরোপের ইস্পাত উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এমনকি বন্ধ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। খবর রয়টার্স।

বাড়তে থাকা জ্বালানি ব্যয়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে স্টেইনলেস ইস্পাত উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অ্যাপেরাম তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিম বেলজিয়ামের সাইটে তাদের চারটি ওয়াইন্ড টারবাইন এবং ৫০ হাজারের বেশি সোলার প্যানেলও বন্ধ করে দিয়েছে।

কোম্পানিটিতে এক বছরে যে পরিমাণ জ্বালানি ব্যয় বহন করতে হতো, তা এখন এক মাসেই বহন করতে হচ্ছে। সাধারণত যেসব অবকাঠামোয় স্টেইনলেস ইস্পাত বিগলন করা হতো সেগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। 

এদিকে গ্রীষ্মকালীন রক্ষণাবেক্ষণজনিত কারণে সক্ষমতার ৮০ শতাংশ উৎপাদনই ব্যাহত হয়। যদিও কারো কারো মতে, রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার পর থেকে হার ৫০ শতাংশে নেমেছে।

ইউরোপ সবচেয়ে বেশি ইস্পাত এর কাঁচামাল আমদানি করে এশিয়ার দেশগুলো থেকে। অঞ্চলে জ্বালানি ব্যয় ইউরোপের তুলনায় কম। কিন্তু কার্বন ফুটপ্রিন্ট ঊর্ধ্বমুখী। ২০২০ সালে এশিয়ায় ইস্পাত খাত থেকে নিঃসরিত কার্বনের হার ছিল ২০-২৫ শতাংশ। কিন্তু গত বছর তা বেড়ে ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে তা আরো বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, গত বছর ইউরোপের অর্থনীতিতে ইস্পাত খাত সরাসরি হাজার ৩০০ কোটি ইউরো অবদান রেখেছে। কর্মসংস্থান হয়েছে লাখ ৩০ হাজার মানুষের।  

ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য বলছে, গত বছরের আগস্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ৯৭ লাখ টন ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন ১৩ দশমিক শতাংশ কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন