দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। তবে কিছু নিম্নমানের পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে দাম আগের তুলনায় বাড়তি। তিনদিন আগেও প্রতি কেজি ছোট আকারের পেঁয়াজ ১৮-১৯ টাকা এবং বড় ২২-২৩ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ছোট আকারের পেঁয়াজ ২২-২৩ টাকা এবং বড় ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। হিলি বাজারে ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ১৬ টাকা। কিছু খারাপ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, বাজারে সাধারণত যেসব পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়, তা বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত ব্যালেন্স পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ কিছুটা নিম্নমানের। এ কারণে এগুলোর দামও তুলনামূলক দাম কম। পূজার ছুটিতে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। যার কারণে বন্দরেই আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি। ফলে খুচরা বাজারেও দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন হোসেন জানান, আর কয়েক দিন পরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এ উপলক্ষে ভারতে খেত থেকে কৃষক পেঁয়াজ উত্তোলন বন্ধ রাখবেন। তেমনি পেঁয়াজ মোকামগুলোও কয়েক দিন বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ৮-১০ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। এ সময় দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ আসবে না। বাজারে এর চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন মোকামে এরই মধ্যে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করা হচ্ছে। ফলে বাজারে সরবরাহ অপ্রতুল হয়ে উঠছে। আগের চেয়ে ডলারের দাম বাড়ায় বাড়তি দামে ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এ কারণেও পণ্যটির দাম বাড়ছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।