সিঙ্গাপুরের কোর মূল্যস্ফীতি ১৪ বছরের সর্বোচ্চে

বণিক বার্তা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরে মূল্যস্ফীতির চাপ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। আগস্টে পরিষেবা খাবারের দাম অন্তর্ভুক্ত থাকা কোর মূল্যস্ফীতি ১৪ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।

স্ট্রেইটস টাইমসের খবর অনুসারে, গত মাসে কোর মূল্যস্ফীতি বছরওয়ারি হিসাবে দশমিক শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জুলাইয়ে হার দশমিক শতাংশ ছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি দশমিক শতাংশে স্পর্শ করার পর এটিই সর্বোচ্চ স্তর। জরিপে অর্থনীতিবিদরা গত মাসের কোর মূল্যস্ফীতি শতাংশে পৌঁছনোর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কোর মূল্যস্ফীতির হিসাবে ব্যক্তিগত পরিবহন বাসস্থানের খরচ বাদ দেয়া হয়েছে। এটি সিঙ্গাপুরের পরিবারের খরচকে আরো ভালোভাবে প্রতিফলিত করে।

এদিকে গত মাসে হেডলাইন বা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিও ১৪ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গত মাসে হার ছিল দশমিক শতাংশ, যা ২০০৮ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ। জুলাইয়েও হার শতাংশ ছিল। গত মাসের মূল্যস্ফীতিও অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস দশমিক শতাংশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর এবং বাণিজ্য শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পুরো বছরের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস - শতাংশের মধ্যে অপরিবর্তিত রয়েছে। পাশাপাশি কোর মূল্যস্ফীতি থেকে শতাংশের মধ্যে থাকবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত মাসে বেসরকারি পরিবহন ব্যয় ২৪ দশমিক শতাংশ বেড়েছে। জুলাইয়ে হার ২২ দশমিক শতাংশ ছিল। গাড়ির দাম দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশমিক শতাংশে উন্নীত হয়েছে। হারও আগের মাসের দশমিক শতাংশ থেকে বেড়েছে। খাদ্য পরিষেবা রান্না করা নয় এমন খাবারের দাম উল্লেখযোগ্য বেড়ে গিয়েছে। ছুটির খরচে পিকআপের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পরিষেবা মূল্যস্ফীতি দশমিক শতাংশে পৌঁছেছে।

সময়ে বাসস্থানের মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা অন্যান্য খরচ উভয়ই যথাক্রমে দশমিক শতাংশ এবং দশমিক শতাংশ বেড়েছে।

একমাত্র বিদ্যুৎ গ্যাসের মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় সামান্য ধীর হয়েছে। গত মাসে মূল্যস্ফীতি ২৩ দশমিক শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেখানে জুুলাইয়ে হার ২৪ শতাংশে ছিল। গ্যাসের দাম কমার কারণে ব্যয় বৃদ্ধির হার ধীর হয়েছে। এদিকে মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর এবং বাণিজ্য শিল্প মন্ত্রণালয় উভয়ই আগামী মাসগুলোয় মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন