সিঙ্গাপুরে মূল্যস্ফীতির চাপ ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। আগস্টে পরিষেবা ও খাবারের দাম অন্তর্ভুক্ত থাকা কোর মূল্যস্ফীতি ১৪ বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে।
স্ট্রেইটস টাইমসের খবর অনুসারে, গত মাসে কোর মূল্যস্ফীতি বছরওয়ারি হিসাবে ৫ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। জুলাইয়ে এ হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বরে এ মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে স্পর্শ করার পর এটিই সর্বোচ্চ স্তর। জরিপে অর্থনীতিবিদরা গত মাসের কোর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে পৌঁছনোর পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কোর মূল্যস্ফীতির হিসাবে ব্যক্তিগত পরিবহন ও বাসস্থানের খরচ বাদ দেয়া হয়েছে। এটি সিঙ্গাপুরের পরিবারের খরচকে আরো ভালোভাবে প্রতিফলিত করে।
এদিকে গত মাসে হেডলাইন বা সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিও ১৪ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গত মাসে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ২০০৮ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ। জুলাইয়েও এ হার ৭ শতাংশ ছিল। গত মাসের মূল্যস্ফীতিও অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ৭ দশমিক ২ শতাংশকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।
মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পুরো বছরের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস ৫-৬ শতাংশের মধ্যে অপরিবর্তিত রয়েছে। পাশাপাশি কোর মূল্যস্ফীতি ৩ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত মাসে বেসরকারি পরিবহন ব্যয় ২৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। জুলাইয়ে এ হার ২২ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। গাড়ির দাম দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া এ সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ হারও আগের মাসের ৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়েছে। খাদ্য পরিষেবা ও রান্না করা নয় এমন খাবারের দাম উল্লেখযোগ্য বেড়ে গিয়েছে। ছুটির খরচে পিকআপের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পরিষেবা মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে।
এ সময়ে বাসস্থানের মূল্যস্ফীতি এবং খুচরা ও অন্যান্য খরচ উভয়ই যথাক্রমে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
একমাত্র বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় সামান্য ধীর হয়েছে। গত মাসে এ মূল্যস্ফীতি ২৩ দশমিক শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যেখানে জুুলাইয়ে এ হার ২৪ শতাংশে ছিল। গ্যাসের দাম কমার কারণে এ ব্যয় বৃদ্ধির হার ধীর হয়েছে। এদিকে মনিটারি অথরিটি অব সিঙ্গাপুর এবং বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় উভয়ই আগামী মাসগুলোয় মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে।