নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে তাসনিয়া হোসেন অদিতা নামের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা করেছে। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম তথ্য জানান।

ঘটনায় পুলিশ ওই ছাত্রীর সাবেক গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনিসহ মোট চারজনকে আটক করে। গ্রেফতার রনি পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে এবং অন্য দুজন একই এলাকার অজি উল্যাহর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত তাসনিয়া হোসেন অদিতা ওই এলাকার মৃত রিয়াজ হোসেন সরকারের মেয়ে। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা জানান, তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। পাশাপাশি প্রাইভেট পড়ান। সকাল ৮টায় বের হন। সন্ধ্যা হয়ে যায় বাসায় ফিরতে। বৃহস্পতিবারও সন্ধ্যায় ফেরেন তিনি। ফিরে এসে ঘরের মূল দরজায় তালা দেখতে পান তিনি। তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে সামনের কক্ষের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পেলেও অদিতাকে দেখেননি। কিছুক্ষণ পর ঘরের ভেতরের একটি কক্ষ লাগানো দেখতে পেয়ে খুলে ভেতরে প্রবেশ করে বিছানার ওপর অর্ধনগ্ন, গলা দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় অদিতার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপর তিনিসহ পুলিশের একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। রাতেই ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে আবদুর রহিম রনি নামে ওই ছাত্রীর সাবেক এক গৃহশিক্ষকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে। পূর্ব আক্রোশের জেরেই রনি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হাতের রগ গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই মূলত ঘরের আলমারির জিনিসপত্র তছনছ করা হয়।

তিনি আরো বলেন, রনি পূর্বপরিকল্পিতভাবেই হত্যা করেছে অদিতাকে। যে কক্ষে অদিতাকে হত্যা করা হয়, সে কক্ষের টয়লেটের পানির কল ছেড়ে দেয়া হয়, টেলিভিশনের সাউন্ড হাই করে দেয়া হয়। হত্যায় ব্যবহূত ছুরি অদিতাদের রান্নাঘর থেকে নেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন