বিশ্বজুড়ে শীর্ষে নিউইয়র্ক

হংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর

বণিক বার্তা ডেস্ক

হংকংকে ছাড়িয়ে এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সিঙ্গাপুর। তিন ধাপ এগিয়ে বিশ্বের শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে নগররাষ্ট্রটি। তালিকায় নিউইয়র্ক লন্ডন প্রথম দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। কঠোর কভিডজনিত বিধিনিষেধ এবং প্রতিভার বহির্গমনের কারণে তালিকায় চতুর্থ স্থানে নেমে গিয়েছে হংকং। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আরেক শহর সানফ্রান্সিসকো দুই ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারস ইনডেক্সে (জিএফসিআই) তথ্য উঠে এসেছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, শেনজেনের চায়না ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট লন্ডনের থিংক ট্যাংক জেড/ইয়েন পার্টনারস অর্ধবার্ষিক জিএফসিআই প্রতিবেদন তৈরি করে। ১১৯টি আর্থিক কেন্দ্রের র্যাংকিং তৈরিতে প্রতিষ্ঠান দুটি অনলাইন প্রশ্নাবলির মাধ্যমে ১১ হাজার ৩৮ জন আর্থিক পেশাদারের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য ব্যবহার করেছে। আর্থিক পেশাদাররা ব্যবসায়িক পরিবেশ, মানবসম্পদ খ্যাতিসহ পাঁচটি ক্ষেত্রে ১৫১টি বিষয় মূল্যায়ন করেছেন। প্রতি বছরের মার্চ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ের ৩২তম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে।

দুই দশক ধরে নিজেকে আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে হংকং। তবে কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিলে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণে অবনমন হয়েছে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির। জিরো কভিড নীতি আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কঠোর কোয়ারেন্টিন নীতিমালার কারণে আগে থেকেই এশিয়ার শীর্ষ আর্থিক কেন্দ্রের মুকুট হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। সবশেষ আড়াই বছরেরও বেশি সময় কঠোর কভিডজনিত নীতি প্রয়োগের পর আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন বিধি তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে শহরটি। তবুও ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়মের আওতায় আগত যাত্রীকে তিনদিন স্ব-নিরীক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

হংকং সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেদনে আর্থিক কেন্দ্রের আর্থিক শিল্প অনুশীলনকারীদের মূল্যায়ন নেয়া হয়েছে। হংকংভিত্তিক অনুশীলনকারীরা শহরের ভবিষ্যৎ প্রতিযোগিতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আমরা আগামীতেও দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে প্রস্তুত আছি এবং হংকংয়ের পুঁজিবাজার আন্তর্জাতিক আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে আমাদের ভূমিকাকে একত্র শক্তিশালী করতে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সাহসী হব।

সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থান থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। অন্যদিকে তৃতীয় স্থান থেকে চতুর্থ স্থানে নেমেছে হংকং। র্যাংকিংয়ের গবেষকরা বলেছেন, হংকং টোকিওর মতো জায়গায় ক্রমাগত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সেখানকার স্বাভাবিক ব্যবসায়িক পরিবেশ বিঘ্নিত করেছে। ফলে দুই শহরের অবস্থানই অবনমন হয়েছে। শীর্ষ ২০ আর্থিক কেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবস্থান হারিয়েছে জাপানের রাজধানী শহর। সাত ধাপ নিচে নেমে টোকিওর অবস্থান এখন ১৬ নম্বরে। এছাড়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে সিডনির। অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্রটি ১০ ধাপ এগিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এসেছে।

গত আগস্টে সিঙ্গাপুর অভ্যন্তরীণ পরিবেশেও মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করেছে। এটিই শহরটির সর্বশেষ কভিডজনিত বিধিনিষেধ ছিল। এর মাধ্যমে শহরটি কভিডের সঙ্গে জীবনযাপনের নীতি নিয়ে এগিয়েছে। সম্প্রতি জাপানও আগামী ১১ অক্টোবর থেকে কভিডজনিত সীমান্ত বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে। র্যাংকিংয়ে সাংহাই দুই ধাপ পিছিয়ে ষষ্ঠ এবং বেইজিংয়ের অবস্থান অষ্টমে অপরিবর্তিত রয়েছে। পাশাপাশি শেনজেন এক ধাপ এগিয়ে নবম স্থানে রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন