চিপ ঘাটতিতে অক্টোবরে ফের গাড়ি উৎপাদন কমাবে টয়োটা

বণিক বার্তা ডেস্ক

আগামী মাসে বিশ্বব্যাপী প্রায় আট লাখ ইউনিট গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে টয়োটা। সংখ্যা গড় মাসিক উৎপাদনের চেয়ে প্রায় এক লাখ ইউনিট কম। চিপ ঘাটতির কারণে সংস্থাটি গাড়ি উৎপাদন কমিয়ে আনছে। পদক্ষেপকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ অর্থবছরের (এপ্রিল-মার্চ) দ্বিতীয়ার্ধেও চিপ ঘাটতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, চিপসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের ঘাটতি এবং সরবররাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গাড়ি উৎপাদন করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণে মহামারীর শুরু থেকেই ছোট-বড় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময় উৎপাদন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।

চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলেও আশা করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি উল্টো ইঙ্গিত দিচ্ছে। টয়োটার একদিন আগে আরেক জাপানি নির্মাতা হোন্ডাও অক্টোবরে গাড়ি উৎপাদন ৪০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী মাসের শুরুতে পশ্চিম জাপানে হোন্ডার সুজুকা কারখানার দুটি লাইনে উৎপাদন প্রায় ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হবে। পাশাপাশি টোকিওর উত্তরে সাইতামা প্রদেশের কারখানায় উৎপাদন আগের পরিকল্পনার চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেবে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ চলতি বছরের শেষ আগামী বছরের শুরুতেও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে।

তবে এখনো টয়োটা চলতি অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাপী যানবাহন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সামঞ্জস্য করেনি। রেকর্ডসংখ্যক ৯৭ লাখ ইউনিট গাড়ি উৎপাদনের পূর্বাভাস অব্যাহত রেখেছে বিক্রির দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

গত মাসে জাপানি নির্মাতা সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে প্রায় লাখ ইউনিট গাড়ি উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে সংস্থাটি এখন অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে লাখ ৫০ হাজার ইউনিট যানবাহন উৎপাদনের আশা করছে। গত মাসের উৎপাদন পরিকল্পনা অনুসারে, টয়োটা সাতটি দেশীয় কারখানায় ১০টি উৎপাদন লাইন ১২ দিন পর্যন্ত বন্ধ রাখবে।

গত বছরের অক্টোবরে টয়োটা বিশ্বজুড়ে লাখ ২৭ হাজার ৪৫২ ইউনিট গাড়ি নির্মাণ করেছিল। কভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সরবরাহ ব্যবস্থাগুলো ব্যাহত হওয়ায় সংস্থাটি উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছিল। তবে সংস্থাটি চিপ ঘাটতি কমার কথা জানিয়েছিল। যদিও ঠিক কবে নাগাদ ঘাটতি পুরোপুরি সমাধান হবে তা স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত মরগান স্ট্যানলি এমইউএফজি সিকিউরিটিজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময় থেকে চিপ সরবরাহের সংকট কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে উন্নত চালক-সহায়তা সিস্টেমে সজ্জিত বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গাড়িপ্রতি আরো সেমিকন্ডাক্টরের প্রয়োজন হবে। এজন্য পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো সময় প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন