অ্যাভাটার ৩০০ কোটি ডলার আয় করতে পারবে?

বণিক বার্তা অনলাইন

২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যাভাটার’ এখনো পর্যন্ত হলিউডের শীর্ষ আয়ের এক নম্বর ছবি। ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটির দ্বিতীয় কিস্তি। এর আগেই আজ থেকে সারাবিশ্বের প্রেক্ষাগৃহে ফিরছে মূল ছবিটি। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক কয়েকটি বাজারে জেমস ক্যামেরনের সিনেমাটি ভালো সাড়া পেয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, অতিপ্রত্যাশিত ৩০০ কোটি ডলার কি ছুঁতে পারবে এ ছবি।

সম্প্রতি ‘স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম’ পুনর্মুক্তির পর দারুণ সাড়া পেয়েছে। সে হিসেবে জো সালডানা অভিনীত সিনেমাটি ভালো করবে আশা করা যায়।

স্পাইডারম্যানে নতুন ফুটেজ যোগ করা হলেও অ্যাভাটার শুধু কারিগরিভাবে পরিমার্জিত হয়েছে। পোস্ট-ক্রেডিটে জুড়ে দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির টিজার।

যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য প্রধান বাজারে মুক্তির আগে সিনেমাটি দেখা শুরু করেছে ফ্রান্স, কোরিয়া, সৌদি আরব, বেলজিয়াম ও ফিলিপাইনের দর্শকরা। সেখানে আয় করেছে প্রায় ৯ লাখ ডলার।

‘টাইটানিক’-খ্যাত জেমস ক্যামেরন জানান, তার সন্তানরা প্রথমবারের মতো ‘অ্যাভাটার’ বড়পর্দায় দেখছে সম্প্রতি। তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি নির্বাক হয়ে যান। তখনই প্রেক্ষাগৃহে পুনরায় মুক্তি দেয়ার কথা ভাবেন।

আরো জানান, অ্যাভাটারের এই সংস্করণ ফোরকে ফরমেটে দেখবে দর্শক। যেখানে উচ্চমানের ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি পাওয়া যাবে।

গত এক যুগে একাধিক সিনেমা অ্যাভাটারের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছিল। সর্বশেষ ‘অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ডগেম’ প্রায় ছুঁয়ে দিয়েছিল অ্যাভাটারের আয়ের অঙ্ক। এখন ২৮৪ কোটি ডলার আয় করা সিনেমাটি ৩০০ কোটির ঘর ধরতে পারে কিনা তা নিয়েই সবাই রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে।

আগামী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিরিজের দ্বিতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’। এরপর আগামী কয়েক বছরে মুক্তি পাবে আরো তিনটি সিক্যুয়েল। এর মধ্যেই তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির দৃশ্যায়ন শেষ হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন