ইউক্রেন ইস্যুতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের রাশিয়ার হুশিয়ারির বিষয়ে সতর্ক করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, পারমাণবিক সংঘাত নিয়ে আলোচনা একেবারে অগ্রহণযোগ্য। একই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে একীভূত করতে তথাকথিত গণভোটের বিষয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে তিনি এ সব কথা বলেন। এসময় বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান।
নিরাপত্তা পরিষদের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে গুতেরেস বলেছেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার থেকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া ও মাইকোলাইভের একাংশে গণভোট আয়োজন করবে মস্কোপন্থীরা। তথাকথিত গণভোটের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। এ বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও বক্তব্য দেবেন। কিন্তু গুতেরেসের মন্তব্যের সময় তিনি চেম্বারে উপস্থিত ছিলেন না। গুতেরেস বলেন, একটি রাষ্ট্রের ভূখণ্ড আরেকটি রাষ্ট্র কর্তৃক একীভূত করা জাতিসংঘে চার্টার ও আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।
দ্য গার্ডিয়ান জানায়, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রায় ৯০ মিনিট দেরি করে প্রবেশ করেন ল্যাভরভ। দৃশ্যত নিজের বক্তব্য শেষ করেই দ্রুত সেখান থেকে চলে যাওয়ার পথ বেছে নেন তিনি। নিজের ভাষণে ইউক্রেন ও তার মিত্ররা ‘রুশ আগ্রাসন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন বর্ণনা চাপিয়ে দেওয়ার’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সের্গেই ল্যাভরভের পর নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তিনি বলেন, তার দেশ ইউক্রেনকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। যতদিন সময় লাগে ততদিন পর্যন্ত এই সমর্থন অব্যাহত থাকবে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক থেকে ল্যাভরভের বেরিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনি অবাক হননি। তিনি বলেন, আমি মনে করি না মিস্টার ল্যাভরভ এ কাউন্সিলের সম্মিলিত নিন্দা শুনতে আগ্রহী।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা এখানে জড়ো হয়েছি তা আমাদের চোখের সামনে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ চার্টার, সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের অভিযোগ করেন।
