খোলা পাম অয়েল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দিল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

খোলা সুপার পাম অয়েল এবং খোলা প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকারের অত্যাবশ্যকীয় নয়টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। নতুন ঘোষণায় বাজারে খোলা সুপার পাম অয়েলের দাম কমল কেজিতে ১২ টাকা। কেজিপ্রতি টাকা কমানো হয়েছে প্যাকেটজাত চিনির দাম।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নুরুল হক স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সুপার পাম অয়েলের দাম কমানো হয়েছে কেজিতে ১২ টাকা। রোববার থেকে পণ্যটি বাজারে বিক্রি করা হবে প্রতি কেজি ১৩৩ টাকা মূল্যে। প্রতি কেজিতে টাকা কমিয়ে প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ টাকা।

খুচরা সর্বোচ্চ মূল্যের পাশাপাশি পণ্যগুলোর মিলগেট পরিবেশক পর্যায়ের দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। মিলগেটে পাম অয়েলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১২৮ টাকা। পরিবেশক পর্যায়ে তা পাওয়া যাবে ১৩০ টাকায়। খোলা পরিশোধিত চিনির মিলগেট মূল্য ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ৭৯ টাকা। পরিবেশক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১ টাকায়। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ধরা হয়েছে কেজিপ্রতি ৮৪ টাকা। অন্যদিকে মিলগেট পর্যায়ে প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাবে প্রতি কেজি ৮২ টাকায়। পরিবেশক পর্যায়ে পণ্যটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ টাকা।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে এবং দ্য কন্ট্রোল অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট ১৯৬৫-এর ভিত্তিতে খোলা সুপার পাম অয়েল এবং খোলা প্যাকেটজাত পরিশোধিত চিনির মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মাসেই সরকার ভোজ্যতেল চিনিসহ নয় ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে বলে জানিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন