দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৪৩৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৯ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৩০৬ জনই ঢাকার। এ সময় ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১৩১ জন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ১ হাজার ৫২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ১৮৩ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৪৬ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৭৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১১ হাজার ২৯৮ জন। এ সময়ে ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ১৭ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ হাজার ৮১৩ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৮ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৪৮৫ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর সারা দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২১ জুন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
এশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা কম উল্লেখ করে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এডিস বা ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও ২০২০, ’২১ ও ’২২—এ তিন বছর আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় সফলতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। বর্তমানে আবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের পর আমরা ক্লাস্টারভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিই। এরপর প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ জোনে ভাগ করে কাউন্সিলরকে প্রধান করে কমিটি করে দিয়েছি। ওইসব এলাকায় কী পরিমাণ মশা নিধনের জন্য ওষুধ লাগবে তা নির্ণয় করে আমদানি করা বা মজুদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনবল সংকট ছিল, একদিনে তিন হাজার জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।