আমনের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

চলতি খরিপ- মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে চলছে রোপা আমনের আবাদ। অনাবৃষ্টির কারণে মৌসুম পেরিয়ে গেলেও এতদিন জমি চাষ করা যায়নি। তাই এখন কিছুটা বৃষ্টি হওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তবে নানা সমস্যার কারণে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়।

অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় আমন আবাদ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে জেলায় ৫১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লাখ ৪৯ হাজার টন। লক্ষ্য সামনে রেখে কৃষক বিআর-৪৯, ব্রি ধান-২২, খাসাসহ বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করছেন। পর্যন্ত মোট ৬৫ ভাগ জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। তবে কৃষক জানান, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ব্যাহত হয় সেচকার্য। আবার জ্বালানি তেল কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কানি (৩৯ শতাংশ) প্রতি উৎপাদন খরচ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সে সঙ্গে আমনের কাঙ্ক্ষিত ফলন নিয়েও তারা চিন্তিত।

সারের দাম বাড়ায় চিন্তিত কৃষক খালেকুজ্জামান। তিনি জানালেন, এখন ইউরিয়া সার প্রতি কেজিতে বাড়তি টাকা করে গুনতে হচ্ছে। সরকার যে দাম বেঁধে দেয়, সেই দামে খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীরা সার বিক্রি করে না জানিয়ে তিনি বললেন, কেজিতে - টাকা বেশি না দিলে সার পাওয়া যায় না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা অবশ্য বণিক বার্তাকে বলেন, আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষক যাতে জমিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেচ দিতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া আছে। পাশাপাশি স্বল্পমেয়াদি উচ্চফলনশীল ধান আবাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে করে শুধু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই নয়, কৃষক বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা আবাদেরও সুযোগ পাবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন