জাপানের পরিবারগুলোর সম্পদ আবারো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। জুন শেষে পরিবারগুলোর হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৭ ট্রিলিয়ন (১৪ ট্রিলিয়ন) ইয়েনে উন্নীত হয়েছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি এবং দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ পরিসংখ্যান কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে ভোক্তা ব্যয়ের ধীর পুনরুদ্ধারের বিষয়টি তুলে ধরেছে। খবর মাইনিচি।
সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যাংক অব জাপানের (বিওজে) প্রতিবেদন অনুসারে, জুন শেষে নগদ, আমানত ও সিকিউরিটিজসহ পরিবারগুলোর মোট সম্পদ ২ হাজার ৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনে পৌঁছেছে। এ সম্পদের পরিমাণ গত বছর শেষে রেকর্ড ২ হাজার ১৪ ট্রিলিয়নের কাছাকাছি।
তথ্য অনুসারে, সিকিউরিটিজ আকারের সম্পদ ১৯৯ ট্রিলিয়ন ইয়েনে নেমে এসেছে। এ সম্পদের পরিমাণ এক বছর আগের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কম। পুঁজিবাজারে দরপতনের কারণে সিকিউরিটিজ সম্পদের পরিমাণ কমে গিয়েছে।
কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে শুরু থেকেই মুদ্রানীতি সহজ রেখেছে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ালেও আগের নীতি অপরিবর্তিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিওজে।
মহামারীর শুরু থেকে সংক্রমণ মোকাবেলায় জাপানিদের বাড়িতে থাকার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। ফলে ঘরবন্দি থাকার এ সময়ে তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ জমেছে। পরিবর্তে তারা খুব কমই ব্যয় করতে পেরেছে। এ অবস্থায় মানুষকে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে এবং রেস্তোরাঁ ও বারগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছিল। এখনো জাপানের অনেক অঞ্চল বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। সীমান্তবিধি শিথিল করলেও নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আলাদাভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করছে দেশটির সরকার।