কোথায় পড়বেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং

ফিচার প্রতিবেদক

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন বিভিন্ন সরকারি মেরিটাইম ইনস্টিটিউট একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া সরকার অনুমোদিত বেসরকারি নৌ-প্রশিক্ষণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আছে। বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামসহ সরকারি-বেসরকারি মোট নয়টি মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির মাধ্যমে নটিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেয়া যাবে।

দেশের প্রথম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় এবং বিশ্বের ১২তম মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট সাতটি অনুষদের অধীনে ৩৮টি বিভাগ রয়েছে। এখানে চার বছর মেয়াদি স্নাতক পর্যায়ে পাঁচটি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সমুদ্রবিদ্যায় বিএসসি, নেভাল আর্কিটেকচার এবং অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি, সমুদ্র আইনে এলএলবি (সম্মান), পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকসে বিবিএ, মেরিন ফিশারিজে বিএসসি (সম্মান) এছাড়া স্নাতকোত্তর পর্যায়ে নয়টি বিষয়ে ডিগি লাভের সুযোগ রয়েছে। পোর্ট অ্যান্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট, মেরিটাইম , মেরিটাইম বিজনেস, মেরিন বায়োটেকনোলজি, মেরিটাইম সায়েন্স, মেরিন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, মেরিটাইম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ, কোস্টাল অ্যান্ড রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সমুদ্রবিদ্যা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির বাইরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌ-স্থাপত্য মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রয়েছে। নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ ১৯৭১ সাল থেকে বুয়েটে যাত্রা করে। বিভাগটি মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নেভাল আর্কিটেকচারের ক্ষেত্রে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উভয় ডিগ্রি প্রদান করে।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম

দেশে দেশে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে তারতম্য ঘটলেও ন্যূনতম মান একই। সমুদ্রচারীদের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণ করে থাকে আইএমও। ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক বা লেভেল। গণিত এবং পদার্থবিদ্যাসহ সায়েন্স গ্রুপ  আবশ্যক। এছাড়া  ইংরেজি কম্পিউটার জানার ওপরও আছে গুরুত্ব। জেনে রাখা ভালো যে, সমুদ্রের ভাষা ইংরেজি। পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, শারীরিকভাবে ত্রুটিবিহীন এবং সাঁতার জানা আবশ্যক। কোনো কোনো দেশে ক্যাডেটরা, একাডেমি বা বিশ্ববিদ্যালয়ে, মেরিটাইম ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়ন করতে পারেন। অন্যান্য দেশে জাতীয় কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার অধীনে ডিগ্রি বা বিকল্প কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। আমাদের দেশের মেরিন একাডেমিতে দুটি ডিসিপ্লিনে চালু আছে চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স (নটিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ারিং) ডিগ্রি কোর্স।

সরকার অনুমোদিত নৌ-প্রশিক্ষণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কোর্সে মেরিন একাডেমিতে ভর্তি-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর। একটি ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রামসহ মোট নয়টি সরকারি-বেসরকারি মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির মাধ্যমে নটিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। মেরিটাইম শিক্ষা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম (আসন সংখ্যা পুরুষ ১৪০ জন মহিলা ২০ জন); বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা (আসন সংখ্যা পুরুষ ৫০ জন); বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল (আসন সংখ্যা পুরুষ ৫০ জন); বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, রংপুর (আসন সংখ্যা পুরুষ ৫০ জন); বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, সিলেট (আসন সংখ্যা পুরুষ ৫০ জন); মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম (আসন সংখ্যা পুরুষ ৬৫ জন মহিলা জন); ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা (আসন সংখ্যা পুরুষ ৮০ জন); ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা (আসন সংখ্যা পুরুষ ৪০ জন); মাস মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম (আসন সংখ্যা পুরুষ ৪০ জন) নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের বাইরেও রয়েছে বেশকিছু শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ঢাকা; এমএএস মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম; ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ট্রেনিং একাডেমি, ঢাকা; ওশান মেরিটাইম একাডেমি, চট্টগ্রাম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন