অধিকাংশ খাতেই নেতিবাচক রিটার্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর মধ্যে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সামান্য উত্থান হলেও একদিন পরই গতকাল বড় পতন হয়েছে বাজারে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। পাশাপাশি এদিন এক্সচেঞ্জটির অধিকাংশ খাত থেকেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইতেও গতকাল সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট কমে হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ এদিন ২০ পয়েন্ট কমে হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট কমে হাজার ৪১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৪ দশমিক ২০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। 

গতকাল পুঁজিবাজারে শুধু চারটি খাত থেকে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দশমিক ৯০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে পাট খাত থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দশমিক ৩০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে চামড়া খাত থেকে। এছাড়া দশমিক ৬০ শতাংশ দশমিক ২০ শতাংশ হারে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে যথাক্রমে ভ্রমণ অবকাশ খাত এবং টেলিযোগাযোগ খাত থেকে। অন্যদিকে গতকাল সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সিরামিক খাতে, দশমিক ৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দশমিক ৮০ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে সেবা আবাসন খাত থেকে। আর সিমেন্ট খাত থেকে এসেছে দশমিক ৬০ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন। এছাড়া আরো ১২ খাত থেকে গতকাল নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন