২০২২-২৩ মৌসুমে বৈশ্বিক কফি উৎপাদন কমার পূর্বাভাস মিলেছে। মূলত প্রধান প্রধান উৎপাদক দেশে বৈরী আবহাওয়ার প্রভাব পানীয় পণ্যটির উৎপাদন ব্যাহত করছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকা সত্ত্বেও ব্রাজিল, হন্ডুরাস, কলম্বিয়া ও ভিয়েতনামে উৎপাদনে ততটা প্রভাব পড়েনি। সম্প্রতি রাবোব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী কফি উৎপাদন ১৬ কোটি ৯০ লাখ ব্যাগে (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগের মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ২৩ লাখ।
ব্যাংকটির পূর্বাভাস বলছে, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে বিশ্ববাজারে ১৩ লাখ ব্যাগ কফির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেবে অ্যারাবিকা কফির। যদিও এর আগে ব্যাংকটি এ মৌসুমে ১৭ লাখ ব্যাগ উদ্বৃত্তের পূর্বাভাস দিয়েছিল। ওই সময় ব্যাংকটি বলেছিল, বিশ্বব্যাপী কফির চাহিদা বেশ স্থিতিশীল। পাশাপাশি ভোক্তাদের কফি ব্যবহারও কমতে পারে।
আইসিই ফিউচার এক্সচেঞ্জে অ্যারাবিকা কফির দাম চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। গত বছর যেখানে ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছিল। এদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে কফির দাম বেড়ে এক দশকের সর্বোচ্চে উঠেছিল। বছরের এখন পর্যন্ত দাম কমলেও তা ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
রাবোব্যাংক জানায়, আগামী বছরের নভেম্বর পর্যন্ত আইসিই ফিউচারস এক্সচেঞ্জের গুদামগুলোয় কফির মজুদ নিম্নমুখী থাকবে। ফলে বাজারে অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং ইউরোপে জ্বালানি সংকটের কারণেও কফির বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখী চাপ অব্যাহত থাকবে।